পরীমণির মামলা তদন্ত করবে ডিবি

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলা তদন্ত করবে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পরীমণি ও তার সহযোগী নজরুল ইসলাম রাজসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে এ মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আসামি ও মামলার ডকেট ডিবি পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। তবে নজরুল ইসলাম রাজের বিরুদ্ধে দায়ের করা পর্নোগ্রাফি মামলাটি বনানী থানা পুলিশ তদন্ত করবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বনানী থানায় মামলা দায়ের করে র‌্যাব। একই দিনে গ্রেপ্তার হওয়া প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আটক চারজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানিয়েছিলেন,বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের পর সন্ধ্যার দিকে র‌্যাব সদস্যরা পরীমণি, রাজসহ গ্রেপ্তার হওয়া বাকিদের বনানী থানায় নিয়ে আসে। পরে মামলা রুজু শেষে তাদের কোর্টে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

পরীমণি ও রাজ ছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া অন্য দুজন হলেন পরীমণির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু এবং রাজের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক সবুজ আলী। র‌্যাব জানায়, পরীমণি ও দীপুর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ে করা হয়েছে। রাজের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি ও মাদক আইনে, সবুজের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানিয়েছে, গত বুধবার র‌্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসায় অভিযানে মিনি বারের সন্ধান পেয়েছেন র‌্যাব কর্মকর্তারা, যেখানে নিয়মিত ‘ঘরোয়া আয়োজন’ হতো।

পরীমণিকে আটকের পর বুধবার রাতে বনানীর ৭ নম্বর রোডে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‌্যাব। তদন্ত-সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নজরুল ইসলাম রাজের নামটি সামনে আসে। তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পরীমণির। একাধিক সময় ফেসবুক লাইভে কথা বলার সময় রাজ অভিনেত্রীর পাশে ছিলেন।

নজরুল ইসলাম রাজ সম্পর্কে র‌্যাব জানায়, রাজ ১৯৮৯ সালে খুলনার একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকায় তিনি বলেন, এর আগে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও মো. মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানের সহযোগিতায় ১০-১২ জনের একটি ‘সিন্ডিকেট’ গড়ে তুলছিলেন রাজ। এই সিন্ডিকেট রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিশেষ করে গুলশান,বনানী, বারিধারায় বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ নানা ‘অনৈতিক কর্মকাণ্ডের’ ব্যবস্থা করতেন।