
You must need to login..!
Description
শফিকুল ইসলাম,বিএমটিভি নিউজঃ ময়মনসিংহে অপহৃত কিশোরী মোছাঃ রিক্তা আক্তারকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন ( পিবিআই )। রোববার ( ৩ অক্টোবর ) সকালে ময়মনসিংহ নান্দাইল থানা এলাকা থেকে অপহৃত ভিকটিম মোছাঃ রিক্তা আক্তারকে উদ্ধার করে পিবিআই ।
জানা যায় বাদী মোছাঃ ফিরোজা আক্তারে বড় মেয়ের জামাই আসামী মোঃ আব্দুল হান্নান (৩৮) জুনের ২০ তারিখ স্ত্রীকে নিয়ে শুশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতের খাবার শেষে সবাই ঘুমিয়ে যায় । ভোরে কিছু ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে বাদী মোছাঃ ফিরোজা আক্তার দেখতে পায় আসামী মোঃ আব্দুল হান্নান ঘরে টাকা রাখার ড্রয়ার ভেঙ্গে ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকাসহ আরও ৪ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে যায় । তাকে বাধাঁ দিতে এলে দেশীয় অস্ত্রের মুখে টাকা ও স্বর্ণসহ ভিকটিম মোছাঃ রিক্তা আক্তারকে সিএনজি যোগে অপহরণ করে নিযে যায় । পরে একালার গণ্যমান্যদের নিয়ে আসমীর বাড়িতে গেলে জানতে পারে মোছাঃ রিক্তা আক্তারকে জোর পূর্বক বিয়ে করেছে আসামী হান্নান।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা মোছাঃ ফিরোজো বেগম বাদী হয়ে তার বড় মেয়ের জামাই ও জামাইয়ের আত্মীয় স্বজনসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নান্দাইল থানার সিআর মামলা নং-১৬১/২১, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ তৎসহ ১৪৩/১৪৮/৪৪৮/৪২৭/৩৮০/৫০৬(॥) মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার দায়িত্ব পিবিআইকে দিলে প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করে।
রোববার সকাল ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানাধীন বরুয়া (সালাম মাস্টারের বাড়ী) আসামী হান্নানের বাড়ী থেকে ভিকটিম মোছাঃ রিক্তা আক্তারকে উদ্ধার করেন পিবিআই ।
রোববার সন্ধ্যায় পিবিআই অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞতিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় ।
ময়মনসিংহ জেলার পিবিআই এর এসপি জনাব গৌতম কুমার বিশ^াস বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনা। আদালত মামলাটির তদন্তভার ময়মনসিংহ জেলা পিবিআইকে প্রদান করলে পিবিআই ভিকটিম মোছাঃ রিক্তা আক্তারকে উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম মোছাঃ রিক্তা আক্তারকে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানাধীন বরুয়া (সালাম মাস্টারের বাড়ী) আসমী আঃ হান্নানের বাড়ী থেকে রিক্তা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়।
প্রথমিক ভাবে জানা যায় ভিকটিম রিক্তা আক্তারের সাথে আসামী আঃ হান্নানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।প্রেমের সূত্র ধরে আসামী আঃ হান্নান ভিকটিম মোছাঃ রিক্তা আক্তার (১৪) কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
উদ্ধারকৃত ভিকটিম মোছাঃ রিক্তা আক্তারকে বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হলে সে স্বেচ্ছায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।