স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ ময়মনসিংহে পুলিশ পরিদর্শক ওসি শাহ কামাল আকন্দ কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি হিসাবে যোগদানের একমাসের মধ্যে সেরা অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলেন। টানা তিন বছরেরও বেশি সময় জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি থাকাকালে প্রায় প্রতিমাসেই উদ্ধার, গ্রেফতার, ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে জেলায় সেরা বিবেচিত হন। কোতোয়ালী থানা গিয়েও তিনি তার অবস্থান ধরে রেখেছেন। আজ বুধবার পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় সেপ্টেম্বর মাসে সেরা অফিসার ইনচার্জ হয়েছেন।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মাসিক ত্রৈমাসিক ( জুলাই-সেপ্টেম্বর) কল্যাণ সভা পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামানের সভাপতিত্ব করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাল্গুনী নন্দির সঞ্চালনায় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বী, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ওসি ডিবি সফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দসহ ২২জন পুলিশ সদস্যকে উত্তম, ভাল এবং সেরাকাজের জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে। এই সকল সেরা পুলিশ সদস্যদেরকে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান সনদপত্র ও সম্মাননা প্রদান করেন।
নিয়মিত মামলা নিস্পত্তি, মাদকসহ অন্যান্য চোরাইপণ্য উদ্ধার, নিয়মিত মামলার আসামী গ্রেফতার, ওয়ারেন্ট তামিল এবং সাজা পরোয়ানাভুক্ত পলাতক সর্ব্বোচ্য সংখ্যক আসামী গ্রেফতার করায় কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ সেপ্টেম্বর মাসের জন্য সেরা অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন। একই সাথে মাদক উদ্ধারে কোতোয়ালীর এসআই মিনহাজ উদ্দিন, আগষ্ট মাসে নিয়মিত মামলার ১৯ আসামী গ্রেফতারে এসআই নিরুপম নাগ এবং জুলাই মাসে ক্লুলেস হত্যাকান্ডে (রুবেল হত্যা) ৫ জন আসামী গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে মামলার রহস্য উদঘাটন করে সেরা এসআই নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক প্রসুন কান্তি দাস, নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান, ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মাসুদ রানা, ডিআইও আঃ কাদেরসহ অন্যান্যরা এই সেরা পুরস্কার পেয়েছেন।
এর আগে পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে বলেন, অতি অল্প সময়ে কোতোয়ালীর ওসি শাহ কামাল আকন্দ ওয়ারেন্ট তামিল, পলাতক, ফেরারী ও নিয়মিত মামলার আসামীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। উত্তম ও ভাল কাজের প্রতি পুলিশকে আরো অধীক মনোযোগী করতে এবং দায়িত্ববোধকে জাগ্রত এবং ভাল কাজে আরো উৎসাহিত করতে এই পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। আগামীতে দায়িত্বহীনতার জন্য তিরস্কার করা হবে।
ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। এ ছাড়া কোতোয়ালী মডেল থানায় এসে কেউ হয়রানীর স্বীকার হবে না। একই সাথে থানায় মামলা বা জিডি করতে কারো কোন অর্থের প্রয়োজন হবেনা। অপরদিকে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে প্রতিরাতেই রাত্রীকালিন অভিযানে মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। ফলে কোতোয়ালী এলাকার আইন শৃংখলা ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে।