
You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ ময়মনসিংহের সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরসিরতা নয়াপাড়ায় মসজিদের কমিটি এবং ৬৬ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই ভাই হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো মমতাজ ও রুবেল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, নয়াপাড়া গ্রামে শুক্রবার দুপুরে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম নামে দুই সহোদর ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে জমি নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার এ নিয়ে শালিশের মাধ্যমে আপোষ নিস্পত্তির কথা ছিল। এর আগেই শুক্রবার দুপুরে রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামকে প্রতিপক্ষের লোকজন লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে।
তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রফিকুল ইসলাম মারা যায়। গুরুতর আহত ছোট ভাই শফিকুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্য়ায় ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত দুই ভাইয়ের পিতা আলী আকবর এখনও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে খুনিচক্রকে সনাক্তকরণ এবং তাদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে। অভিযানে সিরতা নয়াপাড়ার শরাফুদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া (২৮) এবং তনু শেখের ছেলে মমতাজ উদ্দিনকে (৪২) গ্রেফতার করে।
নিহত শফিকুল ইসলামের চাচা আব্দুল মজিদ জানান, সিরতা নয়াপাড়ার তালেব আলীর পরিবার ও প্রতিবেশী আলিমুদ্দিন নবী হোসেনের পরিবারের সাথে মসজিদের কমিটি এবং ৬৬ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরে শুক্রবার দুপুরে নবী হোসেনের লোকজন নয়াপাড়া বাজারের দোকানে ঢুকে রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়।
খবর পেয়ে রফিকুলের বাবা আলী আকবর ও ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম বাধা দিলে চক্রটি তাদের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত তিন জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রথমে রফিকুল ইসলাম মারা যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শফিকুল ইসলামকে ঢাকায় নেওয়ার পথে শুক্রবার মধ্যরাতে তিনি মারা যান।
হামলায় দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের পাশাপাশি ক্ষোভের মাত্রা বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোতোয়ালী পুলিশ এলাকা ঘিরে রাখে।
ওসি শাহ কামাল আকন্দ আরো জানান, নিহতদের লাশ ময়না তদন্তশেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শোকাহত পরিবার লাশের দাফন কাফনে ব্যস্ত থাকায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে চেষ্ঠা চলছে।##