You must need to login..!
Description
মতিউল আলম, বিএমটিভি নিউজঃ বাংলাদেশে এই প্রথম লবণ ও জলমগ্ন সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) কনফারেন্স কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক দল বিজ্ঞানীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লবণ ও জলমগ্ন সহিষ্ণু ধানের জীবন রহস্য উন্মোচন করার মাধ্যমে দেশে ধান গবেষণায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা হতে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সব সময়ই লক্ষ্য হল পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদন করা এবং এর উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এর মাধ্যমে এদেশের মানুষের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও বিক্রি করব। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদেরকে আরও ভালো জাত উদ্ভাবন করতে হবে। যেগুলো প্রতিকূল পরিবেশে জন্মানো সম্ভব। এটাই হল মূল চ্যালেঞ্জ।
বাকৃবির গবেষক প্রফেসর ড. মো. বজলুর রহমান মোল্লা জানান, বাংলাদেশে প্রথম লবণ ও জলমগ্ন সহিষ্ণু ধানের ৪৫৪.৬২ এমবিপি ডিএনএ অনুর বিন্যাস নির্ধারণ ও গামা রেডিয়েশন প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট ডিএনএ ভেরিয়েশনগুলো শনাক্ত করা হয়েছে। গামা রেডিয়েশনের ফলে ধানের ডিএনএ অনুতে সৃষ্ট ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে সাবস্টিটিউশনগুলো সর্বাপেক্ষা অধিক, যা এ গবেষণায় আবিষ্কৃত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আরোপিত রেডিয়েশনের ফলে ধানে পরিবর্তিত প্রোটিন কোডিং জিন, বিভিন্ন ধরনের আরএনএ এবং কিছু অশনাক্তকৃত অঞ্চল শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মিউট্যান্ট লাইনে প্রতিকূল আবহাওয়া সহিষ্ণু ২৩টি জিনে সর্বাপেক্ষা অধিক প্রভাব বিস্তারকারী মিউটেশনের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে। অপরদিকে অন্য একটি মিউট্যান্ট লাইনে উচ্চ ফলনশীল বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী সর্বোচ্চ ১৬টি জিন এবং চালের আকার-আকৃতি সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্যের জন্য আরও ৪টি জিন শনাক্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে এ পূর্ণাঙ্গ সিকোয়েন্সকে রেফারেন্স জিনোম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে এবং শনাক্তকৃত জিনগুলো উচ্চ ফলনশীল জাতে স্থানান্তর করতে পারবে বলেও জানান এই গবেষক।
এ সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামসহ বিনার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।