You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ ময়মনসিংহ সদরের শম্ভুগঞ্জের সবজিপাড়ার শাহজাহানের ছেলে সজলের সাথে প্রায় তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মাহমুদার (২১)। বৃহস্পতিবার বিকালে মাহমুদার সাথে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজনের ঝগড়া হলে বিষয়টি মাহমুদা তার পিতা-মাতাকে জানান। এসময় মাহমুদার পিতা আঃ হালিম মেয়েকে তার বাড়ীতে চলে আসতে বলেন।কিন্তু মাহমুদা জানান তার স্বামী, শ্বাশুড়ি ও পরিবারের অন্যান্যরা তাকে আসতে দিচ্ছে না।
কিন্তু সন্ধ্যায় মাহমুদার স্বামী সজল তার শ্বশুরকে ফোনে জানান, আপনার মেয়ে অসুস্থ। এর কয়েক মিনিট পর আবারো সজল তার শ্বশুরকে মোবাইলে বলে মাহমুদার অবস্থা ভাল নয়, খুবই খারাপ। এ কথা শুনে মাহমুদার পিতা আঃ হালিম অন্যান্যদের নিয়ে দ্রুত সজলের বাড়িতে যান। এ সময় স্থানীয় ডাক্তার ও সজলের পরিবার জানায় মাহমুদা বেচে নেই। কান্না জড়িত কন্ঠে এই মর্মান্তিক ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিল নিহত মাহমুদার পিতা ময়মনসিংহ সদরের শম্ভুগঞ্জ রাঘবপুর গ্রামের আঃ হালিম।
নিহতের পিতা ও তার পরিবারের অভিযোগ যৌতুক না পেয়ে মাহমুদাকে তার শ্বাশুড়ি মিনুর প্ররোচনায় স্বামী সজল ও তার ভাই সুজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকলোভি শ্বাশুড়ি মিনু নববধু মাহমুদাকে নানা ভাবে চাপ দিয়ে আসছে। মায়ের প্ররোচনায় স্বামী সজল প্রায় নিযাতন করে আসছিল। স্বামী সজল তার ভাই সুজনের সহায়তায় মাহমুদার গলায় বিদ্যুতের তার পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। মাহমুদা গৌরীপুরের কলতাপাড়া মোজাফফর আলী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।
খবর পেয়ে পুলিশ স্বামী সজল মিয়া ও তার ভাই সুজনকে আটক করে। এছাড়া নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়মা তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের স্বামী সজল ও তার ভাইকে আটক করি। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। নিহতের পিতা জানান, তার মেয়েকে হত্যার ঘটনায় তিনি মামলা করবেন।