You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ
ময়মনসিংহ মহানগরীর আকুয়া এলাকায় সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মরহুম পুত্রের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘ডা. মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ এর টিনশেড ভেঙে জবরদখল করা দেড় একর ভূমি উদ্ধার ও দখলমুক্ত করেছে সিটি করপোরেশন।
সোমবার সকালে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব উল আহসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে আকুয়া এলাকায় ডা. মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের টিন শেডের ভবনটি ভেঙে মালামাল জব্দ করে ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে সেখানে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জমির কথা উল্লেখ করে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয়। ২০১৬ সালে সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের পুত্র মরহুম ডা. মুশফিকুর রহমান শুভ’র নামে ওই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৫ সালে ডা. শুভ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মারা যান।
সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম ও সম্পত্তি কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, নগরীর আকুয়া মৌজার ৫২৪২ ও ৫২৪৩ দাগের চার দশমিক চার একর ভূমি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব সম্পত্তি। এরমধ্যে ২০১৬ সালে এক দশমিক ৪৮ একর ভূমি জবরদখল করে ডা. মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। উক্ত ভূমি দখলমুক্ত করার জন্য ২০১৭ সালে পরপর তিনটি নোটিশ দেয়া হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ সদর সহকারি জজ আদালতে অন্য প্রকার মামলা (মামলা নং- ৪৬১/২০১৭) দায়ের করে। ২০১৯ সালে মামলাটি ধোবাউড়া সহকারি জজ আদালতে বদলী হয়। ওই আদালত শুনানির জন্য ৩১ দিন তারিখ ধার্য্য করে কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ মামলা পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক সাখাওয়াত হোসেন মামলাটি খারিজ করে দেন। গত পহেলা নভেম্বর এ রায় ঘোষণার পর সোমবার সিটি করপোরেশন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ভূমি জবরদখলমুক্ত করে সিটি করপোরেশনের সাইন বোর্ড টানিয়ে দেয়।
এদিকে সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের পুত্র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহিত উর রহমান শান্ত রাজনৈতিক ক্যাডারদের উপস্থিতিতে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ডা. মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের টিনশেডের ভবন ভেঙে ফেলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বিদ্যালয়টি ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ওই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিল বলে দাবি করে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি স্বল্পমূল্যে লীজ দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত তিন শতাধিক ছাত্রী লেখাপড়া অব্যাহত রাখার স্বার্থে ওই জমিটুকু বিদ্যালয়ের নামে লীজ দেয়ার দাবি জানান তিনি।
উচ্ছেদ অভিযানকালে সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ মানস বিশ্বাস, সহকারি সচিব আমিনুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও স্যানেটারি কর্মকর্তা দীপক মজুমদার, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর জাবেদ ইকবালসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।