বিএমটিভি নিউজ ঃ আজ সকাল থেকে ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া, বাইপাস মোড়সহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে কঠোর বিধিনিষেধ মধ্যে যারা ময়মনসিংহ ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারাই বিপাকে পড়েছেন। তবে অনেককে রিকশা কিংবা অটোরিকশায় করে ভেঙে ভেঙে কর্মস্থলের উদ্দেশে যেতে দেখা গেছে। দ্বিতীয় দফা সরকারি বিধিনিষেধের প্রথম দিনে ময়মনসিংহে বেশ কড়াকড়ির মধ্য দিয়েই লকডাউন চলছে। ।
বুধবার সকাল থেকেই নগরীর ব্যস্ততম সবকটি সড়ক ছিল ফাঁকা। দু-একটি রিকশা ও অটোরিকশা ছাড়া রাস্তায় তেমন কোনো বাহন দেখা যায়নি।
এদিকে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের টহল জোরদার ছিল। তবে কাঁচাবাজারে স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই জটলা দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। নগরীর মেছুয়াবাজারে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে তাদের।
নগরীর শম্ভুগঞ্জ মোড়ে টহলরত কোতোয়ালি মডেল থানার অপারেশন অফিসার (তদন্ত) চাঁদ মিয়া বলেন, আমরা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করছি। কোনো রিকশায় একের অধিক যাত্রী দেখলেই তাদের বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। সন্তোষজনক উত্তর পেলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় আবার ফেরত পাঠানো হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের টহল জোরদার ছিল
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, নগরীতে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে তাদের ১৩ টিম কাজ করছে। যারা অযথা ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদের কারণ দর্শানো হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজনে পুলিশের অনুমতি ছাড়া কেউ কোথাও যেতে পারবে না। দোকানপাটসহ সব কিছুই বন্ধ রয়েছে।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত বলেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে র্যাব-১৪ এর ২০টি টিম সংশ্লিষ্ট জেলায় কাজ করছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষকে সচেতন করা। মানুষ যেন ঘর থেকে অযথা বের না হয়। ময়মনসিংহ জেলায় আমাদের ৬টি র্যাবের টিম টহলরত অবস্থায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রত্যেক উপজেলায় একটি ও নগরীতে ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। তারা মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি জরিমানাও করে যাচ্ছেন।
কাঁচাবাজারের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, এ নিয়ে সিটি মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে। নগরীর সব কাঁচাবাজার খোলা জায়গায় সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।