You must need to login..!
Description
মতিউল আলম, বিএমটিভি নিউজঃ মুক্তাগাছা থানার কাঠবওলা গ্রামের-মোঃ মোখলেছুর রহমানের পুত্র দিদারুল ইসলাম রুবেল (৩০) হত্যা মামলায় রহস্য উদঘাটন করেছে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ। হত্যাকান্ডে জড়িত গ্রেফতারকৃত ২ আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছে মাদক বিক্রির টাকা না দেয়ায় রুবেল (৩০)কে তারা খুন করেছে। আসামীদ্বয়কে আজ ২৩ এপ্রিল ময়মনসিংহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুল ইসলাম ০১ নং আমলী আদালত, সোর্পদ করা হলে, উক্ত আসামীদ্বয় হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। উভয়ই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মর্মে ঘটনায় বর্ননা করে। মৃতের নিকট মাদক বিক্রির টাকা পাওনা মর্মে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে লাশ গত ০৩ মার্চ সন্ধ্যা পৌণে ৭টায় কোতোয়ালী থানার চর জেলখানা বেড়ীবাধে ফেলে হত্যাকারীরা চলে যায়।
ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কোতোয়ালী থানার চরভবানীপুর কোনাপাড়ার আসামী মোঃ সুমন মিয়াকে (২৫) ভালুকা থানার ড্রাইভারপাড়া এলাকা থেকে ২২ এপ্রিল রাতে এবং একই গ্রামের মোঃ খোকনকে (২৫) একই তারিখ রাত সাড়ে ১০টায় কোতোয়ালী থানার চরভবানীপুর কোনাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, গত ০৩ মার্চ সন্ধ্যা পৌণে ৭টায় কোতোয়ালী থানার চর জেলখানা বেড়ীবাধে এক ব্যাক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পরে পরিচয় পাওয়া যায়, নিহতের নাম-দিদারুল ইসলাম রুবেল (৩০), পিতা মোখলেছুর রহমান, সাং-কাঠবওলা, থানা-মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ। রুবেল হত্যার ঘটনায় তার মোঃ মোখলেছুর রহমান (৬৭) বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। যার কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-১৫, ০৪ মার্চ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড)। মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান মামলাটি গত ১৩ মার্চ জেলা গোয়েন্দা শাখায় ন্যস্ত হয়। পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় ওসি ডিবি তার সহযোগী এসআই(নিঃ) অজয় কুমার চক্রবর্তীকে নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। দীর্ঘ তদন্তকালে অবশেষে হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়। ###