ভাগ্য বদলায়নি অবহেলিত চরেরভিটা গ্রামের মানুষের

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভি নিউজ ডেস্ক: ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা ধোবাউড়া। ভাগ্য বদলায়নি অবহেলিত এ উপজেলার একটি গ্রাম চরেরভিটার মানুষের। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে গ্রামটির চতুর্দিকে রয়েছে খালবিল। এরই মাঝখানে অবস্থিত এই অবহেলিত গ্রাম। পোড়াকান্দুলিয়া, গোয়াতলা ও ধোবাউড়া সদর এই তিনটি ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় অবস্থান হওয়ার কারণে গ্রামটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। রিপোর্ট করেছেন  শেয়ার বীজের ময়মনসিংহ প্রতিনিধি  রবিউল আউয়াল রবি,

স্থানীয় রহিমা খাতুন বলেন, নির্বাচন এলে প্রার্থীরা মা-খালাম্মা ডেকে ভোট চাইতে আসেন কিন্তু পরের পাঁচ বছরে কারও দেখা মিলেনা। কেউ আর আমাদের খোঁজ নেয় না।

বর্ষাকালে গ্রামের চতুর্দিকে থাকে থই থই পানি। কিন্তু পান করার মতো বিশুদ্ধ পানির রয়েছে চরম সংকট। সরকারি সুবিধা, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্দ্বী, ভিজিএফ, ভিজিডি প্রভৃতি সুবিধা পান না এ গ্রামের বাসিন্দারা। সরেজমিনে গ্রামটিতে ঘুরে এমন নানা সমস্যা দেখা গেছে।

এ গ্রামে রয়েছে চন্দ্রনাথ নামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্ষাকালে বছরে অন্তত চার মাস কার্যক্রম প্রায় বন্ধ থাকে। আশপাশে কোন উচ্চ বিদ্যালয় নেই। তিন কিলোমিটার দূরে একটি বতিহালা উচ্চ বিদ্যালয় অন্যদিকে ধোবাউড়া সদরের প্রতিষ্ঠান। যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় কোনটিতেই ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারেন না অভিভাবকরা।

স্থানীয় মোফাজ্জল হোসেন শেয়ার বিজকে জানান, বর্তমান ডিজিটাল যুগে দেশ উন্নয়নশীল হলেও আমাদের উপজেলার অবহেলিত এ গ্রামটিতে কারও নজর পড়ে না। তাই কোনো উন্নয়ন আমরা পাই না।

চরেরভিটা গ্রাম থেকে সদরে আসার রাস্তাটি অত্যন্ত নাজুক। বর্ষাকালে বেশিরভাগ স্থান পানির নিচে থাকে। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে আনার কোনো সুযোগ থাকে না। একটি রাস্তা গজারিয়া গ্রাম হয়ে গোয়াতলা ইউনিয়নের সংযোগ। এটি নামেই শুধু রাস্তা, মূলত ধান ক্ষেতের আইল। অন্য একটি রাস্তা বতিহালা,

দুধনই হয়ে পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের সংযোগ। তবে মাঝখানে রয়েছে রুহালা নামে একটি বড় খাল। খালটিতে কোনো সেতু ও কালভার্ট না থাকায় কেউ পার হতে পারেন না।

স্থানীয় শহর আলী নামে একজন বলেন, রুহালা খালে একটি কালভার্ট ব্রিজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তিতে বসবাস করছেন এলাকাবাসী। বাঁশের এই সাকু দিয়ে পাড়াপাড় হতে অনেক কষ্ট হয় আমাদের।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন তালুকদার জানান, আমি কিছু কাজ করেছি, সামনে আরও কিছু কাজ করে দেবো।

সম্প্রতি সরকারি উদ্যোগে সম্পন্ন হওয়া দুস্থদের জন্য ভিজিডি কর্মসূচির একটি কার্ডও পাননি এই গ্রামের কোনো বাসিন্দা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে রয়েছে চরম ক্ষোভ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান শেয়ার বিজকে জানান, এ বিষয়ে আমি ইতোমধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছি যেন এলাকাবাসীকে সরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার