You must need to login..!
Description
মতিউল আলম,বিএমটিভি নিউজঃ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও কড়াকড়ি অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। ফলে রাস্তা-ঘাট অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে।
জেলা ব্যতিক্রম ছিল ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদরে। আজ বিকালে সড়কের উপর বিশাল হাট বসে। সেখানে ছিল ক্রেতা-বিক্রেতার উপচেপড়া ভীড় । কঠোর লকডাউনের কোন চিহ্ন মাত্র পাওয়া যায়নি। ছিলনা প্রশাসনের কোন তৎপরতা।
জেলা প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এখন আর মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ার অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে। বিভাগে চার জেলায় সার্বক্ষণিক লাকডাউন পরিস্থিতির মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস।
মাঠ পর্যায়ের মোবাইল টীমকে মনিটরিং করতে ভোর থেকে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকসহ এডিএম ও এডিসিগণ ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতায় বাসার বাইরে যত্রতত্র অবস্থান করতে পারছেনা মানুষ। মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকপোস্টে জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে বাইরে বের হওয়া মানুষকে।
লকডাউনের দু’দিনে ময়মনসিংহ জেলায় প্রথমদিনে ৫২৫টি মামলা এবং দ্বিতীয় দিনে ২৫৭ মামলাসহ মোট ৭৮২টি মামলা হয়েছে এবং ৬লাখ ১৬ হাজার ৪৪৫টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৬ ঘন্টার টানা কর্মতৎপরতায় জেলা জুড়ে প্রথম দেনে ৫২ জন এবং দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৪৮জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এ জরিমানা করা হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। কড়াকড়ি আরোপের ফলে শুক্রবার সকাল থেকে যানবাহন ও মানুষের চলাচল অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আয়েশা হক বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে ময়মনসিংহ জেলার ১৩টি উপজেলায় ১৩ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১১জন সহকারী কমিশার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসন নিয়োজিত ২৩জন ও সিটি কর্পোরেশনের ১জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোর থেকে অভিযান পরিচালনা করে। শম্ভুগঞ্জ ব্রীজ টোলপ্লাজায় কড়াকড়ি ডিউটি করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন শাহরিয়া। তারা বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি লঙ্গণকারীকে জেল জরিমানা করেন।
প্রথম দিন সকাল থেকেই কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী ময়মনসিংহ জেলায় এবং নগরীতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে অভিযান পরিচালনা করে। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ১০টি টীম, পুলিশের ১৮টি টীম, র্যাবের ৩টি, এপিবিএন ১টি এবং আনসারের ৩টি টীম অভিযানে অংশ নেয়। অভিযান পরিচালনায় সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিধিনিশ্চিতকরণে স্কাউট, বিএনসিসি ও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন জেলা প্রশাসন সহায়তাকরে। এছাড়া রাতভর টহলের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
এ ছাড়া লকডাউনের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক একেএম গালিভ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সমর কান্তি বসাক।##