You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজ, অটোচালক হত্যা করে অটো ছিনতাই চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারি থানার,পাথরডুবির গ্রামের খোরশেদ আলম (৩৬), নেত্রকোণার কলমাকান্দার,হাটশিরা শিবনগরের বকুল মিয়া (২৫) ও মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার (২৬)স্বামী-জীবন রহমান ও ময়মনসিংহ নান্দাইল,থানার কাদিরপুরের মোছাঃ শেফালী বেগম (৩০)। গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার নেত্রকোণার দূর্গাপুর থানা এলাকা হতে ছিনতাইকৃত ২টি অটো উদ্ধার করা হয়। ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান সম্প্রতি একটি অজ্ঞান পার্টির চক্র অভিনব পদ্ধতিতে অটোচালকদের অজ্ঞান করে অটো ছিনিয়ে নেওয়ার অপরাধ করে আসছে।
গত ১২ এপ্রিল’২১ ময়মনসিংহ গৌরীপুর কলতাপাড়া নন্দীগ্রামের অটোচালক শাহিনুর ইসলাম (৫২) প্রতিদিনের ন্যায় সকালে অটো নিয়ে বের হয়। স্বাভাবিকভাবে রাতে তার বাসায় ফেরার কথা। কিন্তু সে আর ফেরেনি। পরের দিন ১৩ এপ্রিল তার স্ত্রী মোছাঃ পারভীন আক্তার (৩৮), গৌরীপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন। ১৬ এপ্রিল ফেসবুকে পোষ্ট থেকে জানতে পারে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে আছে। তার স্ত্রী-ভাইয়েরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন। এই ঘটনায় ১৯ এপ্রিল গৌরীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
মামলাটি তদন্ত শুরু করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ওসি, ডিবি’র নেতৃত্বে দীর্ঘ তদন্তকালে অপরাধ চক্রটি সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। হাসপাতালের সিসি ফুটেজের ছবি দেখে তাদেরকে সনাক্ত করা হয়। গত ১জুলাই বৃহস্পতিবার গাজীপুর হোতাপাড়া থানার মনিপুর বাজার এলাকা হতে চক্রের উক্ত ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তন্মধ্যে ২ জন মহিলা ২ জন পুরুষ। তাদের অপরাধের লক্ষ্য হলো প্রথমে অটোচালক সিলেকশন করে অপেক্ষাকৃত বয়স্কদের। নিদিষ্ট স্থানের জন্য রিজার্ভ করে। পথিমধ্যে তারা সকলেই জুস জাতীয় খাবার খায়। চালককে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশ্রিত জুস খাওয়ায়। একই অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা গত ২৬ জুন নান্দাইল থানা এলাকায় একই কায়দায় একটি অটো রিজার্ভ করে। পথিমধ্যে চালককে চেতনা নাশক খাবার খাওয়ায়ে অটোটি নিয়া চলে যায়। অটো চালক হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে। এই ঘটনায় ভিকটিম মোঃ সাইদুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে নান্দাইল থানার মামলা নং-০১, তারিখ-০১/০৭/২১, ধারা- ৩২৮/৩৭৯ পেনাল কোড রুজু হয়।