স্টাফ রির্পোটার,বিএমটিভি নিউজঃশিক্ষক কতৃক এক শিক্ষার্থীর জন্ম পরিচয় নিয়ে বাজে মন্তব্য করার জের ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের অপসারন দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ন কবীর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ি তাৎক্ষনিক এ ঘটনায় কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করার সুযোগ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো: শামীম সিদ্দিকীকে জন্ম পরিচয় নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন একই বিভাগের শিক্ষক ড. শেখ মেহেদি হাসান। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফেইসবুক লাইভে এসে ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
বিষয়টি টের পেয়ে ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা তাকে ত্রিশাল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ড. তপন কুমার সরকারসহ আরও অনেকে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষক ড. শেখ মেহেদি হাসান। তিনি জানান, ঘটনাটি আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। আমি এ ধরনের কোন কথা বলিনি।
এদিকে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষক ড. শেখ মেহেদি হাসানের অপসারণ দাবি করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্বস্থ করলেও তারা তাৎক্ষনিক ওই শিক্ষককে অপসারন করার দাবি জানায়।
পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাস ছেড়ে ত্রিশাল উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড় অবরোধ করে। এ সময় তারা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে যানযট সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে অবরোধ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কোন বক্তব্য জানা যায়নি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভালো আছে। এখন শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।