মেয়ের অসুস্থতা মেনে নিতে না পেরে বাবার আত্মহত্যা

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ শারীরিকি অসুস্থতা নিয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া বড় মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি। অপারেশন হওয়ার পরও মেয়েটি সুস্থ্ হয়নি, বরং আরও নতুন অপারেশন করতে হবে। মেয়েটি ফোন করে বাবাকে দেখতে চাইলো। বাবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ মেয়েকে দেখতে যাওয়ার কথা। কিন্তু সকাল ১১ টায় খাবার খেয়ে প্রস্তুত হওয়ার পর বেলা ১২.৩০ টায় মেয়ের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবা। হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ভাটিচরণঁওপাড়া গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম নজরুল ইসলাম ব্যাপারী (৪৫)।

জানা যায়, তিন মেয়ে ও তিন ছেলে নিয়ে সুখের সংসার নজরুল ইসলামের। কিন্তু গত বেশ কয়েকদিন আগে তার বড় মেয়ে মিথিলার শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার পর,সেই মেয়েকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে অপারেশন করা হয়। সেই অপারেশনের পর প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে মেয়ের জ্ঞান ফিরে এবং জ্ঞান ফেরার পর মেয়ের আরও একটি নতুন অপারেশন করাতে হবে বলে ডাক্তার বলেন। আর সেই সংবাদ শুনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বাবা। আর সেই কষ্ট থেকেই পাশের ধান রাখার গুদাম ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবা।

নজরুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল বলেন, বাবাকে বারবার ফোন করার পরও তার বাবা ফোন রিসিভ না করলে পাশের ঘরে মোবাইলের রিংটোনের শব্দ শুনতে পায় এবং জানালা দিয়ে দেখতে পায়,তার বাবা গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলছে। পরে ঘরের ভিতরের দেয়াল টপকে ঘরে গিয়ে ফাঁস থেকে নামায় মা-ছেলেসহ পরিবারের লোকজন। স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে জানতে পারেন তার বাবা মারা গেছেন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নজরুল ইসলাম ভালো মনের একজন সহজ সরল ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি এমনটা করবেন কখনো ভাবতে পারে নাই। তার ছোট ছেলেটি কোরআনের হাফেজ।

ঈশ্বরগঞ্জর থানার অফিসার ইন-চার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য লাশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার