হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন আনন্দ টিভির ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি ও মানবজমিন পত্রিকার হালুয়াঘাট উপজেলা প্রতিনিধি ওমর ফারুক সুমন, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার হালুয়াঘাট প্রতিনিধি সাইদুর রহমান রাজু, ইত্তেফাক প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক, কালবেলা পত্রিকার হালুয়াঘাট প্রতিনিধি জুলফিকার আলী জুলমত, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার প্রতিনিধি রফিকুল্লাহ চৌধুরী মানিক, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি বাবুল হোসেন।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, সাংবাদিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ-১ আসনের সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং প্রেসক্লাবের কমিটি দেওয়ায় ঘটনার সূত্রপাত হয়। গত দুই বছর পূর্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা শাহ আলমকে প্রেসক্লাবের সভাপতি করে কমিটি দেয় এমপি জুয়েল আরেং। সাংবাদিকরা উক্ত ঘটনায় মর্মাহত হলে পরের নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে কমিটি করার আশ্বাস শুনানো হলেও গত ২৮/১২/২০২২ ইং তারিখে দুই বছর মেয়াদে পুনরায় শাহ আলমকে সভাপতি করে কমিটি দেয় এমপি জুয়েল আরেং।
ভোরের কাগজ পত্রিকার পত্রিকার প্রতিনিধি বাবুল হোসেন জানান, শাহ আলম একজন ধান্দাবাজ। সে উপজেলার সর্বমহল থেকে চাঁদা আদায় করে। সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক ও একজন অসৎ চরিত্রের লোক। আমাদেরকে না জানিয়ে এমপি তাকে সভাপতি করে দুই বার কমিটি দেওয়ায় আমরা হালুয়াঘাটের ১৪ জন স্বনামধন্য সাংবাদিকদের নিয়ে উপজেলা প্রেসক্লাব গঠন করেছি।
রবিবার দুপুরে থানা রোডস্থ হালুয়াঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাইনবোর্ড উঠাতে গেলে শাহ আলম স্থানীয় উত্তর বাজারস্থ সাগর, রিপন, মতি সহ দশ পনেরজন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাংবাদিকদের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করে।
হামলায় মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি আনন্দ টিভির ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি ওমর ফারুক সুমনের কাঁধের হাড় ভেঙ্গে যায়। বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি সাইদুর রহমান রাজুর হাত কেটে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এ বিষয়ে শাহ আলম জানায়, এমপি প্রেসক্লাবের কমিটি দেওয়ার হালুয়াঘাটে আর কোন কমিটি থাকতে পারেনা। তারা কেন উপজেলা প্রেসক্লাব করবে এজন্য এমপির নির্দেশে তাদের হটিয়েছি।
এ ঘটনায় হালুয়াঘাট থানায় জিডি করে সাংবাদিকরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার দাবি করেছে হালুয়াঘাটের সাংবাদিক সহ সুশীল ব্যক্তিবর্গ।