আঃ খালেক পিভিএম,পাবনা।।  উত্তর জনপদের কৃতি সন্তান দেশের সমাজ পরিবর্তন ও নারী উন্নয়নের কর্নধার অধ্যাপিকা ড.হোসনে আরা বেগম প্রতিষ্ঠিত দেশের শীর্ষ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের এনজিও টিএমএসএসের আওতাধীন পরিচালিত বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার মালঞ্চা গুরবিশা গ্রামে মৎস্য উদ্যোক্তাদের নিয়ে রবিবার টিএমএসএস কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসইপি-ফিশারিজ প্রকল্পের উদ্যোগে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবেশবান্ধব মৎস্য চাষ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগীতায় ও টিএমএসএস কর্তৃক বাস্তবায়িত এসইপি-ফিশারিজ উপ-প্রকল্পের মালঞ্চা শাখার স্থানীয় মৎস্য উদ্যোক্তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণে উক্ত মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।টিএমএসএস এন্টারপ্রাইজ সেলের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এসইপি ফিশারিজ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন কাহালু উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর নবী। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন-মুক্তা চাষ বর্তমান সময়ের একটি বিশেষ সম্ভাবনাময় লাভজনক উদ্যোগ,যা মাছ চাষের পাশাপাশি একই পুকুরে চাষ করা যায়। টিএমএসএসের এমন উদ্যোগ অনেক বেশি প্রশংসনীয় ও সময়োপযোগী।বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টিএমএসএস এইচইএম সেক্টরের উপদেষ্টা লায়ন আয়শা বেগম। তিনি বলেন,টিএমএসএস সারা দেশ ব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি প্রান্তিক মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।আলোচনা পর্ব শেষে উক্ত গ্রামের মৎস্য উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে এসইপি-ফিশারিজ উপ-প্রকল্পের আওতায় মুক্তা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ পাওয়া উপকারভোগী মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের পুকুর পরিদর্শন করা হয়।এছাড়াও মুক্তা চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলাস্থ মুক্তা চাষ উদ্যোক্তা মোঃ কবির উদ্যোক্তাদের মুক্তা চাষ বিষয়ক পরামর্শ ও বিভিন্ন কলাকৌশল হাতে-কলমে প্রদর্শন করেন।মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে টিএমএসএসের কাহালু অঞ্চলের,অঞ্চল প্রধান মোঃ জুয়েল হোসেন ও মালঞ্চা শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ লিটন তালুকদার,এসইপি-ফিশারিজ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও টেকনিক্যাল অফিসার,ডকুমেন্টেশন অফিসার নানা শ্রেণি পেশার মানুষ,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,সুবিধাভোগী কৃষক,এনজিও কর্মী,ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।