You must need to login..!
Description
আঃ খালেক খান পিভিএম। নারী উন্নয়নের পথিকৃত দেশের শীর্ষ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের এনজিও টিএমএসএসের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ও আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক অধ্যাপিকা ডক্টর হোসনে আরা বেগম এর সভাপতিত্বে বগুড়ার ফাইভস্টার হোটেল মমইনে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক কর্মশালায় দেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডাঃ মুজিবুর রহমান প্রধান আলোচক হিসাবে তাঁর বক্তৃতায় বলেন,আমাদের দেশে দিন দিন মানুষ ভেজাল ও বিষ যুক্ত খাবার খেয়ে মৃত্যুর দিকে ঝুকে পরছে।এর ভয়াবহতা থেকে আমাদের পরিত্রাণের উপায় অর্গানিকভাবে উৎপাদিত খাদ্যাভাস গ্রহণ করার পাশাপাশি ব্যায়াম ও কাজের মাধ্যমে শরীরের ফিটনেস ধরে রাখা।বগুড়ার হোটেল মমইন এন্ড রিসোর্টে ১৯ মে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক কর্মশালায় ডাঃ মুজিবুর রহমান এসব তথ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক ও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন।অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক আরো বলেন,প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে ঔষধ ও চিকিৎসার প্রতি নির্ভরশীলতা কমিয়ে মানুষকে সুস্থতা ধরে রাখতে হবে।আমাদের দীর্ঘজীবন লাভ করতে হলে নিজেদের দৈনন্দিন নেতিবাচক খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে।তিনি আশঙ্কা করেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরছে এদেশের তরুণ থেকে বৃদ্ধ বয়সের মানুষ অথচ অর্গানিক খাবার গ্রহণ ও রুটিন মাফিক জীবন যাপনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ সুস্থতা অর্জন সম্ভব।
তিনি আশা করেন,দেশের শীর্ষ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস ইতিমধ্যেই রাসায়নিক সার ও বিষমুক্ত অর্গানিকভাবে শাক সবজি, ফলমূল উৎপাদন শুরু করেছে।খাদ্যাভাসে সকলেই সচেতন হলে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ পদ্ধতির আকার বৃদ্ধি পাবে।তিনি আরো বলেন,মানুষের সাথে মাটি ও প্রকৃতির নিবিড় একটি সম্পর্ক রয়েছে।সেজন্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলমুল বেশি করে গ্রহণ করা উচিত।যা তাদের শরীরের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।এছাড়াও পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের বলেন,আমাদের দেশে এমন কোন বাড়ি পাওয়া যাবে না যেখানে কোন রোগী নাই বা কেউ ঔষুধ সেবন করেন না।সুস্থ থাকতে হলে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে এসব ঔষুধের উপরে নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে হবে।কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক ও আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক অধ্যাপিকা ড.হোসনে আরা বেগম বলেন,আগে মাটির যা গুণাগুণ ছিলো যে কারণে সকল খাবারেও এক অনন্য পুষ্টিগুণ থাকতো যা আজ নেই।নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে মাটির স্বাস্থ্য উন্নয়নেও কাজ করতে হবে যা টিএমএসএস ইতিমধ্যেই শুরু করেছে।তবে সময়ের পরিবর্তনে ভেজালকে পরিহার করে সুষম ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের লক্ষ্যে তিনি সকলকে অভ্যাস গড়ার আহ্বান জানান।বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশ স্বাধীনতার সময়ে এ দেশের জনগণ ছিল সাড়ে সাত কোটি। এখনও জমির পরিমাণ বাড়েনি কিন্তু বৃদ্ধি পেয়েছে মানুষের সংখ্যা।সেই সঙ্গে বেড়েছে কলকারখানা।বৃহৎ জনগোষ্ঠির এই দেশে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ হিসাবে খাদ্য চাহিদা মিটানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ।তবে আমাদের কৃষি বিভাগ এক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে।টিএমএসএসের সেক্টর প্রধান উপ-নির্বাহী পরিচালক মোঃ সোহরাব আলী খানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোজাফফর হোসেন, ডাঃ মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও টিএমএসএসের নির্বাহী পরামর্শক খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক ও টিএমএসএসের সাধারণ পরিষদ সদস্য প্রফেসর ড.হাছানাত আলী,টিএমএসএস পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা আয়শা বেগম, টিএমএসএসের উপ-নির্বাহী পরিচালক-২ রোটারিয়ান ডাঃ মতিউর রহমান,কৃষিবিদ আবু তালেব ও হেম অপারেশন এন্ড আই টি পরিচালক মোঃ মাহাবুবর রহমান প্রমুখ।
কর্মশালা অনুষ্ঠানে টিএমএসএস পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান,শিক্ষকমন্ডলী,মেডিকেল কলেজের ডাক্তার,উর্ধ্বতন কর্মকর্তা,বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান,টিএমএসএসের পরামর্শক,উপদেষ্টামনডীর সদস্য,নির্বাহী পরিচালকের একান্ত সচিব মোঃ ফেরদৌস রহমান,মোঃ আঃ হান্নান প্রশাসন,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,এনজিও কর্মী ও ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।