ময়মনসিংহে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবীতে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

image

You must need to login..!

Description

আজ ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সকাল ১০.৩০ টায় ময়মনসিংহের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পার্কে মাটি বাংলাদেশ, ক্লাইমেট চেঞ্জ নেটওয়ার্ক অব গ্রেটার ময়মনসিংহ (সিসিএনজিএম), কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভাইরনমেন্টাল একশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটারনাল ডেব্ট (বিডব্লিউজিইডি)-এর যৌথ উদ্যোগে এক ব্যাতিক্রমধর্মী নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাবেশে সর্বস্তরের শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন এখন বিশ্বব্যাপী নতুন বাস্তবতা। এই গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আজ ভয়াবহ অবস্থায় পৌছেছে যা আমাদের পৃথিবীর মানবজাতিসহ গোটা জীবজগতের অস্তিত্বকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। বিশ্বে মোট গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের প্রায় ৭৫-৮০% শতাংশই জি-২০ গ্রুপের সদস্য দেশগুলো করে থাকে। কাজেই, কার্বন নিঃসরণ এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা হ্রাসকরণে জি-২০ দেশগুলোর ভূমিকাই সর্বাধিক। জলবায়ু পরিবর্তনে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মত দেশগুলোতে ক্ষতিপূরণ দিতে এসব দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজেই আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবী জোড়েশোড়ে তোলা প্রয়োজন।
আমাদের দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৮২ শতাংশই গ্যাস, করলা ও ডিজেল ভিত্তিক এবং এর অধিকাংশই আমদানি নির্ভর। আমাদের দেশের জ্বালানি খাতের ৮০ শতাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য এই জি- ২০ ভুক্ত দেশ সমূহের সাথে, বিশেষত এশিয় অঞ্চলের ৬ টি দেশ যেমন: চীন, জাপান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া ও সৌদি আরবের সাথে যারা জি-২০’র অন্তর্ভূক্ত। এসব দেশ তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই চাইবে যে আমরা তাদের কাছ থেকে কয়লা-গ্যাস-ডিজেল-ফার্নেস অয়েল (যেগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী জীবাষ্ম জ্বালানি) ইত্যাদি কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। কিন্তু এসব দেশের প্রতি আমাদের জোড় দাবী হওয়া উচিত নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করা।
দেশ এখন একটি অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমদানিকৃত জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা ভাড়া (ক্যাপাসিটি চার্জ) এখন দেশের অর্থনীতির গলার ফাঁস হয়ে দাড়িয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ জাতীয় সংসদকে জানান যে, গত সাড়ে ১৪ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া বাবদ ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা। ২০০৯-১০ সালের বিদ্যুৎখাত এবং এখনকার বিদ্যুৎ খাত এক নয়। তখন জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ভাড়াভিত্তিক বিদুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি করা হয়েছিলো। চুক্তিগুলো ছিলো ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য। কিন্তু এখনো একই শর্তে কেন চুক্তিগুলো নবায়ন করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয় যেখানে “মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা” অনুসারে ২০৫০ সালের মধ্যে ১০০% নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
সরকার “মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা” থেকে সরে আসছে কিনা সে বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। অথচ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হলে এই পরিকল্পনা আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কাজেই আজকের এই সমাবেশ থেকে “মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা”র পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জি-২০ দেশসমূহের সার্বিক সহয়তার জোড় দাবী জানানো হয়। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির। ##

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার