গফরগাঁওয়ে শেষ মর্হুতে ঈদের বাজার জমে উঠেছে

image

You must need to login..!

Description

 গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ ঈদের আর কয়েকদিন দিন বাকী থাকলে ও গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ ১৫টি ইউনিয়নে কাপড়রের দোকানসহ হরেক রকমের দোকানে গুলোতে শেষ মর্হুতে বেচা কেনা ধুম পড়েছে। প্রতিটি দোকানে দোকানে নারী-পুরষ ও শিশুকিশোরদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয় । প্রতিটি শাড়ী কাপড়সহ বিভিন্ন দোকানে ঈদ কে কেন্দ্র করে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে । এবারের মেয়েদের হরেক রকমের নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় বিক্রি হচ্ছে । বিশেষ করে সাড়া জাগানো ভারতের বিভিন্ন সিনেমার নায়ক/নায়িকাদের নামে ডিজাইনের কাপড় শোভা পাচ্ছে । অন্যদিকে বিভিন্ন নাটকের চরিত্রের নায়ক-নায়িকাদের নামে ছেলে- মেয়েদের পোষাকে ভরপুরে হয়ে উঠেছে ।নতুন নতুন নাম করনের ফলে কাপড় মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সারারা ,গাগড়ী ও কাঁচাবাদাম সহ বিভিন্ন ধরনের নামের পোষাক। ফলে এগুলো নিম্ম শ্রেণীর পরিবারদের মধ্যে তাদের সাধ্য অনুযায়ী কাপড় কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। জুতার দোকানে ও বিক্রি কমতি নেই । নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের জুতা দোকানে শোভা পেয়েছে। কাপড় ও জুতার দাম বহু গুনে বৃদ্ধি ফলে নিন্ম শ্রেণীর ক্রেতারা কিনতে সাহস পাচ্ছে না। গফরগাঁও কলেজ রোডের সরকার ম্যানসন মার্কেটের ঐতিহ্যবাহী স্বপন শাড়ীকালয় দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে , ঈদুল ফিতরের মধ্যে বেচা কিনা বেশী হয়ে থাকে । আনন্দ উৎসবের মেতে উঠে সারা দুনিয়ার মুসলমান সম্প্রদায় । ধনী গরিবের মধ্যে কোন ধরনের মধ্যে কোন ধরনের ভেদাভেদ থাকে না। এছাড়া বারী প্লাজা,বেলাল মার্কেট(আলাল মার্কেট),সরকার ম্যানসন, মর্জিয়া মার্কেট , হেকিম টাওয়ার ,মুক্তা মার্কেট ও গোলন্দাজ মার্কেট,সোরহাব মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। গফরগাঁও কলেজ রোডের আলাল মার্কেটে আসা ক্রেতা মোঃ ফয়জুল্লাহ জানান , গত দু,বছর সর্বনাশা মহামারি করোনার কারনে রোজা ঈদের বাজার জমেনি । সকলস্তরের জনতা সর্বনাশা মরামারি করোনার কারণে ঘর হতে বের হওয়ার সাহস করেনি । ফলে হরেক রকমের ব্যবসায়ীদের চরম ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকায় লোকসান দিয়ে মালামাল বিক্রি করতে হয়েছে । অনেকেই আবার এখনো আর্র্থিক ভাবে অভাব অনটনে রয়েছে । ফলে এবার আল্লাহর রহমতে সর্বনাশা মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় ফলে সকল ধরনের ব্যবসা জমজমাট
(২)
হয়ে উঠেছে । সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন দোকানে উপড়ে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে । এতে করে সকল সড়কে বিভিন্ন ধরনের গাড়ীর যানজট বেড়ে গেছে । তবে ঈদের চাঁন রাত পর্যন্ত যানজটের ফলে বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক পুলিশ দেয়া হলে জনসাধারণে উপকার হতো । গত কয়েকদিন ধরে গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ ১৫টি ইউনিয়ন পর্যায়ের হাট-বাজার গুলোতে টেইলার্সের দোকান গুলোর শ্রমিক ও টেইর্লাস মাষ্টার ঘুম বাদ দিয়ে নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় বানানোর ধুম পড়েছে । গফরগাঁও মধ্য বাজারের সোনালী ব্যাংকের নীচের গোলন্দাজ মার্কেটের কাপড়ের দোকান মের্সাস বিন্দু ফ্যাশনের মালিক শ্রী সুদেব জানান , গত দু,বছরের তুলনা এবারে কাপড় বেশী বিক্রি হচ্ছে। সকলেই উন্নত মানের কাপড় ক্রয় করছে । গ্রাম-এলাকার জনসাধারনের মধ্যে দিন দিনে রুচি বোধ বৃদ্ধি পাচ্ছে । কালের-বির্বতনে আধুনিকতার ছোয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে । দেশীয় বাজারে আর্ন্তজাতিক ডিজাইনের কাপড় তৈরী করা হচ্ছে । এখনকার সময়ে মান্দাতার আমলের ডিজাইন বদলে গেছে । পুরাতনের বদলে প্রতিটি মর্হুতে হরেক রকমের ডিজাইন শোভা পাচ্ছে । পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে কাপড় দোকান ছাড়া মনিহারী দোকান গুলোতে বেচা কেনা পিছিয়ে নেই । গফরগাঁও রেলষ্টেশন বুধিয়া মার্কেটের (শাহ মিসকিন রোড) বিশিষ্ট মনোহারীর দোকান মেসার্স মামুন ষ্টোরের মালিক মোঃ মামুন জানান , এ বারের মাহে রমজানের শুরুতেই ডাল , ছোলা , চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রির দাম বেড়ে যাওয়ার পরেও আমরা সরকার নির্ধারিত মুল্যে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করে যাচিছ । এতে করে জনসাধারনের জন্য ভালো হয়েছে । রাজধানীসহ জেলা , উপজেলা ও ইউনিয়ন বাজার গুলোতে সরকারের তদারকির ফলে কোন কিছুর দাম বাড়েনি । গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবিদুর রহমানের সার্বিক মনিটরিংয়ের কারণে বাজার সর্ম্পনু ভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার