You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ বিশ্ব যাদুঘর দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহে তিন দিনব্যাপী প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র সারিন্দা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেভিস ফাউন্ডেশন ও ময়মনসিংহ বাউল সমিতি সহযোগিতায় মহানগরীর কাঁচিঝুলি এলাকার ব্যাপ্টিস্ট চার্চ গীর্জার নীচ তলায় “এশিয়ান মিউজিক মিউজিয়ামে” আয়োজিত এ প্রদর্শনী শুরু হয় বুধবার (১৮ মে)। শুক্রবার (২০ মে) বিকালে সারিন্দা প্রদর্শনীতে এক তারা, দু’তারা, শানাই, বেহেলা, শরত, তবলা, কঙ্গ, বিনা, সারিঙ্গী, সেতার, হারমোনিয়াম, বাশি, তানপুরাসহ ৬০০ বাদ্যযন্ত্র দেখা যায়। স্থান পেয়েছে ১০০ থেকে প্রায় ৩৫০ বছরের পুরাতন দুর্লভ সারিন্দা।
প্রদর্শনীতে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের পাশাপাশি ছিল পুঁথি পাঠ, বাউল বৈঠক, শিশুদের সংগীত ও যন্ত্রসংগীত পরিবেশনা।এতে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেন শিল্পী জয়িতা অর্পা ও শৈল্পিক নির্দেশনায় ছিলেন জাওয়াতা আফনান।
সারিন্দা প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে সংগ্রাহক রেজাউল করিম আসলামের সতের শতাব্দী থেকে উনিশ শতাব্দীর সংগ্রহিত ১২টি দুলর্ভ সারিন্দা।
এছাড়াও, জেলার গৌরীপুরের নাও ভাঙার চরের মোক্তার হোসেন ফকিরের কাছ থেকে পওয়া চার প্রজন্মের ব্যবহৃত দুইশ বছরের পুরানো সারিন্দা, যেটি ব্যবহার করতেন মোক্তার ফকিরের বাবা রমজানী আলী ফকির, দাদা ইয়াছিন ফকির এবং তার বাবা জমির ফকির।
বাদ্যযন্ত্র ও লোকজ সংস্কৃতি সংগ্রাহক রেজাউল করিম আসলাম বলেন, ‘বাদ্যযন্ত্র প্রস্তুতকারক, বাদক ও উপকরণ সবই হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময় সারিন্দা খুবই মূল্যবান ছিল। যারা সারিন্দা বাজাতেন তারা মরমী কবি ছিলেন।’
‘শত শত বছরের পুরনো বাদ্যযন্ত্রগুলো হারানো বা নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য এই উদ্যোগ। এসব সারিন্দা কারো রান্নাঘর বা কারো গোয়ালঘরে পাওয়া গেছে। যাদের কাছে পাওয়া গেছে তারা জানতেন না এর ঐতিহাসিক বা ঐতিহ্যগত মূল্য কত,’ বলেন তিনি।
প্রদর্শনী সম্পর্কে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালার উপ কীপার মুকুল দত্ত বলেন, এই ধরনের আয়োজন আরও বেশি হওয়া উচিৎ। বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছলে দেশের লোকজ সম্পদ ও লোকজ ঐতিহ্য রক্ষা পাবে।