
You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহণে হয়ে গেল ৮ম বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫। আজ শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে আড়ম্বর বর্ণিল পরিবেশে এ খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইউসুফ আলী এর সভাপতিত্বে বিভাগীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ। বিশেষ অতিথির আসনে ছিলেন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড প্রধান কার্যালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দেওয়ান মোঃ আব্দুস সামাদ এনডিসি, অতিরিক্ত মহাপরিচালক একেএম আব্দুল্লাহ খান। বিভাগীয় ও চারটি জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহণে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ড.মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, সুস্থ ও সুন্দর জীবন গঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। খেলাধুলা একদিকে যেমন মানসিকতার বিকাশ ঘটায় ঠিক তেমনি সুস্থ সবল শারীরিক গঠন নিশ্চিত করে। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে শিশু কিশোরদের চিত্ত বিনোদনের সুযোগ করে দেয়া যায়, পাশাপাশি তাদের মেধা বিকাশের সর্বোচ্চ সুযোগ ঘটে। এটি শুধু অনুষ্ঠান নয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাৎপর্যপূর্ণ মিলনমেলাও বটে। এ দিনটি সকলের জন্য আনন্দ ও স্মরণীয় হোক এ প্রত্যাশা করি।
প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ক্রীড়ার গুরুত্ব ও জাতীয় জীবনে এর প্রভাব ইতোমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি। সুস্থ দেহে সুস্থ মন। সুস্থ দেহের প্রশান্ত মনটাই সুখী জীবনের চাবিকাঠি। যখন শরীরচর্চা করা ভিতর থেকে ভালো লাগে। খেলাধুলা বা শরীরচর্চার মাধ্যমে অনেকগুলো হরমোন নিঃসরণ হয়, যেগুলো অনেক ভালো কাজে উদ্দীপনা যোগায়। ফলশ্রুতিতে ক্রীড়াবিদরা মাদকাসক্ত হতে পারেনা, অন্যায় কাজ করতে পারেনা বরং সর্বোচ্চ ভালো কাজটি করে থাকে। ক্রীড়াবিদরা একটি সুশৃংখল জীবন যাপন করে। যারা খেলাধুলা থেকে দূরে থাকে তারা অনেক সময় ধীরে ধীরে সমাজের বোঝা হয়ে যায়। কিন্তু ক্রীড়াবিদরা কখনোই সমাজের বোঝা হয় না। খেলোয়াড় সুলভ পেশাদারিত্ব বা মানসিকতা নিয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করতে হবে। জয় পরাজয় থাকবেই। মনে রাখতে হবে বিজয়ীরা পরাজিতদের ঘাড়ে পা রেখেই জয়লাভ করে। হেরে যাওয়া দলের গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। পরাজিতরা না থাকলে তারা জয়ী হতে পারত না। বিজয়ীদের সেটা ধারণ করতে হবে। একটি সুন্দর ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ক্রীড়াবিদরা পাশে থাকবে সে প্রত্যাশা রাখি।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত সচিব দেওয়ান মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন, ক্রীড়া লাল সবুজের পতাকাকে দেশে ও বিদেশে সর্বোচ্চ আসনে আসীন করতে পারে। ক্রীড়ামতি বা ক্রীড়াবিদরা সহজেই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে পরিচিত করতে পারে। এই উদ্দেশ্যে খেলাধুলাকে সরকার উৎসাহিত করে। খেলাধুলা বা ক্রীড়া কার্যক্রমে সরকারের উল্লেখযোগ্য বাজেট থাকে। তার পিছনে কিছু লক্ষ্যও থাকে। দেশের একজন নাগরিককে যেসব প্রক্রিয়ায় বা উপায়ে সহজেই সুনাগরিক বা আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা পালন করে তারমধ্যে খেলাধুলা অন্যতম। ক্রীড়াবিদরা মাঠে পরস্পরের প্রতিযোগী কিন্তু জয়ের ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করে। তারা কখনো জোর জবরদস্তি করে না, মারামারি করে না। তারা কখনো বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত হয় না। তারা ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়, সম্মানের সহিত সমাজে বসবাস করে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মাঝে চার জেলার জেলা প্রশাসকগণ, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, বিভাগীয় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের নানান স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দিনব্যাপী এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বালক-বালিকা, শিশুবালক-বালিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী (পুরুষ ও নারী) বয়সভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেন। খেলাধুলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।##