প্রতিমা বির্সজনের দিন ডাক-ঢোল পিটিয়ে শোভা যাত্রা না করার আহবান ডিআইজির

image

You must need to login..!

Description

 

ময়মনসিংহের রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ বলেছেন, মা হচ্ছে আমার’’ কাজেই মাকে পাহাড়া দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। ভলানটিয়ারের নাম করে পূজা মন্ডপে প্রবেশ করে কেউ যেন নাশকতা করতে না পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়ে করোনা ভাইরাসের কারণে এবারের পূজায় আনসার বাহিনী নিয়োজিত না থাকলেও নিরাপত্তার জন্য বিট পুলিশ, পুলিশের মোবাইল টিম, গোয়েন্দা পুলিশ সার্বক্ষনিক পাহাড়া দিবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা পালনের জন্য পূজা মন্ডপ গুলোতে সাদা পুলিশসহ তিন স্তরের পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।


হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাপুজা উপলে রেঞ্জ পুলিশের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে আইনশৃংখলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ এসব কথা বলেছেন।
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর পূজামন্ডপগুলোতে প্রতিমা বির্সজনের দিন ডাক-ঢোল পিটিয়ে শোভা যাত্রা না করার জন্য ডিআইজি হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতাদের প্রতি বিশেষ ভাবে আহবান জানিয়েছেন। ধর্মীয় নেতারা বলেন, করোনার কারণে সরকারী নির্দেশানুযায়ী ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলায় এবছর ১হাজার ৫৮৩টি পুজা মন্ডপে দূর্গপূজা অনুষ্ঠিত হবে। রেঞ্জ পুলিশের আয়োজনে আইনশৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত ডিআিইজি ড.আক্কাছ উদ্দিন ভুইয়া, ময়মনসিংহের পুলিশর সুপার মোহা আহামার উজ্জামান, রেঞ্জ অফিসের পুলিশ সুপার সৈয়দ হারুন অর রশিদ, শেরপুরের পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীম, নেত্রকোণার পুলিশ সুপার আকব আলী মুন্সি, জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার সহ চার জেলার পুলিশ সুপার এবং হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকগন উপস্থিত ছিলেন। করোনার কারণে সরকারী দির্নেশনা অনুযায়ী সন্ধ্যার আগেই প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার জন্য রেঞ্জ ডিআইজি পূজা উদযাপন ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্ধের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এর আগে রেঞ্জ ডিআইজি ধর্ষণ, ইভটিজিং ও অন্যান্য নারী নির্যাতন সংক্রান্ত ঘটনাসহ যে কোন পুলিশি প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টা কল করার জন্য ৯৯৯ এর প্রচারণা ব্যাপকহারে প্রচারের জন্য বেলুন উড়িয়ে প্রচারণা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর ৯৯৯ এর সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি মানুষ ৯৯৯ এ কল করে সেবা গ্রহণ করেছেন।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার