ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও শেরপুরের এসপিসহ বিভাগে করোনায় মোট আক্রান্ত ৫,২৮১

You must need to login..!

Description

মতিউল আলম,ঃ
বিএসএস প্রশাসন ক্যাডারের ১১তম ব্যাচের সুদক্ষ কর্মকর্তা ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান এনডিসির নমুনা পরীক্ষায় ১৪ আগষ্ট রাতে পাওয়া ফলাফলে করোনা পজিটিভ হয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি চলতি বছরের ২জুন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে গত ৪ আগষ্ট ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমানও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ও তার স্ত্রী আলেয়া ফেরদৌসী ও পূত্র কাজী আফনান আজীম (১৪) গত ৭ আগষ্ট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। দ্রুত রোগ মুক্তির জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তাদের পরিবার।

করোনাভাইরাসের হটস্পট এখনও ময়মনসিংহ। কিছুদিন কম থাকলেও গত ঈদের পর থেকে আবারো আক্রান্ত, মৃত্যু, ঝুঁকি, আতংক এই বিভাগে সবই বাড়ছে। সরকার বাইরে গেলে সকলকে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করলেও অধিকাংশ মানুষই মাস্ক পড়ছে না। করোনায় ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত এই বিভাগে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ২৮১জন তন্মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে ৬১ জন । এপর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ৫০ হাজার ৯৬৯টি নমুনার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অকারণ ঘোরাঘুরি, শপিংসহ সবকিছু খুলে দেয়ার প্রেক্ষিতে অবাধ চলাচলের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ জানান। গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য চলছে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা বাইরে ঘুরাঘুরি করার প্রেক্ষিতে করোনা সংখ্যা দিন দিন ব্যাপক হারে বাড়ছে। দ্রুত আক্রান্তের লাগাম ধরে টানতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জনগণকে বাধ্য করা ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডাঃ মোঃ আবুল কাশেম জানান, করোনায় আক্রান্ত জেলাওয়ারী ময়মনসিংহে ৩ হাজার ৭৮জন, নেত্রকোনায় ৬৬১, জামালপুরে ১ হাজার ১৭০ জন, জন এবং শেরপুরে ৩৭২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪,২৪৬ জন। বর্তমানে মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৯৫০জন। এনিয়ে বিভাগে সর্বমোট মারা গেছেন ৬১ জন। এরমধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৩০ জন, নেত্রকোনা জেলায় ৭ জন, জামালপুরে ২০ জন এবং শেরপুর জেলায় ৪জন।
ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা: এবিএম মসিউল আলম জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৪আগষ্ট ১৩০টি ময়মনসিংহ জেলার নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জনের করোনা পজিটিভ। ত্মমধ্যে সদর-১০ জন, ত্রিশাল-৩ জন, ঈশ্বরগঞ্জ-২ জন, ধোবাউড়া-২ জন, ভালুকা ও ফুলপুওে ১জন করে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় পরিষদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় করোনা মনিটরিং সেলের সমন্বয়ক, বি.এম.এ ময়মনসিংহ জেলা শাখা ও বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এইচ. এ. গোলন্দাজ তারা জানান, সরকার মাস্ক বাধ্যতামূলক করলেও এখনো মাস্ক পড়ছে না। গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য চলছে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা বাইরে ঘুরাঘুরি করার প্রেক্ষিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন ব্যাপক হারে বাড়ছে। দ্রুত আক্রান্তের লাগাম ধরে টানতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জনগণকে বাধ্য করা ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান জানান, গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। একটি নিরাপদ ময়মনসিংহ গড়ে তুলতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান।##

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার