গরম বাতাসে ময়মনসিহে দুই হাজার ৬৩০ হেক্টর জমির ফসল বিবর্ণঃ কৃষকের আহাজারি

image

You must need to login..!

Description

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ, সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গরম হাওয়ায় আনুমানিক দুই হাজার ৬৩০ হেক্টর জমির বোরো ধানের ফসল নষ্ট হয়েছে। এ বছর জেলার দুই লাখ ৬৩ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। প্রথম দিকে ফলনও ভালো হয়েছিল। এরমধ্যে ত্রিশাল উপজেলার একহাজার ৫৮০ হেক্টর, গফরগাঁও ৪০০ হেক্টর, ঈশ্বরগঞ্জ ২০০ হেক্টর এবং গৌরীপুর ১২৫ হেক্টরসহ জেলা সদর, মুক্তাগাছা, ধোবাউড়াসহ ১৩ উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি অফিস সুত্রে জানায়ে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানায়, জেলার সদর উপজেলার চর দূর্গাপুর, চর ভবানীপুর, কোনাপাড়া, আনন্দীপুর, সিরতাসহ বিভিন্ন গ্রামের ধান নষ্ট হয়। এছাড়াও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর গোবিন্দপুরে কয়েকশ’ হেক্টর ধান নষ্ট হয়েছে। চর ঈশ্বরদিয়ার কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান এক একর জমিতে আমি হাইব্রীড ধান চাষ করেছিলাম। গত সপ্তাহে রাতে গরম বাতাসে প্রায় ধান নষ্ট হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের রামগোপালপুর গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম জানান, গত ‘রোববার বিকালে থেকে শুরু হওয়া কালবৈশাখীর গরম বাতাসে জমির ধান পুড়ে সাদা হয়ে গেছে। এখন বউ-বাচ্চা নিয়ে মরন ছাড়া উপাই নাই।’
অনেক কৃষক নিজের শেষ সম্বল গরু, গাছ, সমিতি ও কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদে ব্যয় করেছে। চলতি মৌসুমের বোরো আবাদের ফসল নষ্ট হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন না।

সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তাহমিনা জানান, উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে মৌসুমি গরম বায়ু প্রবাহের ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউজ্জামান বলেন, ‘ক্ষতির কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ দল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে গরম বাতাসে ধানের রেনুগুলো ঝলছে পড়েছে। ফ্যাকাসে রূপ ধারণ করেছে। অচিরেই ক্ষতির পরিমাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষকের ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, চলতি মৌসুমে হঠাৎ করে গরম বাতাসে বোরো ফসল বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বোরো ধান ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার