You must need to login..!
Description
মতিউল আলম,বিএমটিভি নিউজঃ ময়মনসিংহ শহরের গোহাইলকান্দি তিনকোণা পুকুরপাড় এলাকায় প্রায় ১বছর আগে খুন হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম খান (২৫) হত্যা মামলার অন্যতম দুই আসামী রিফাত ও মহসিনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ময়মনসিংহ জেলা।
মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সন্ধিগ্ধ আসামী ময়মনসিংহ-কোতোয়ালী থানার পোড়াবাড়ী জামতলার হারুন অর রশীদ এর পুত্র রিফাত (২৩)কে গত ৯ জুলাই সন্ধ্যার সময় নিজ বাড়ীর সামনে হতে এবং ময়মনসিংহ নগরীর আউটার স্টেডিয়াম নিজ বাসা হতে মহসিন মিয়া(২৫)কে একই দিনে সন্ধ্যায় গ্র্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ০২ জন আসামীকে আজ ১০জুলাই ২০২১ সালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পিবিআই জানায়, ত্রিশাল কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম খান (২৫), নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার রামেশ্বরপুর, গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলামের পুত্র।, ময়মনসিংহ নগরীর গোহাইলকান্দি তিনকোণা পুকুরপাড় এলাকায় মেসে ভাড়া থাকাবস্থায় গত ১মে ২০২০ সালে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অজ্ঞাতনামা আসামীরা তার রুমে ঢুকে বুকে এবং বাম হাতের বাহুতে ঘাই মেরে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে আহত করে। পরবর্তীতে বাসার মালিক শিক্ষার্থী তৌহিদ’কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐদিন ভোর ৫টায় শিক্ষার্থী তৌহিদ মারা যায়। উক্ত ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা নং-০২, তাং ০১/০৫/২০২০ খ্রিঃ, ধারা-৩০২ দঃ বিঃ রুজু হয়।
কোতোয়ালী থানা পুলিশ মামলাটি ২মাস তদন্ত করে ১জন আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে বাদীর নারাজীর প্রেক্ষিতে মামলাটির অধিকতর তদন্তভার পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলার উপর ন্যস্ত হয়।
ডিআইজি, পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর দিক নির্দেশনায় পিপিআই ময়মনসিংহ ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ দেলোয়ার হোসাইন মামলাটি তদন্ত করেন।
আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী রিফাত রং মিস্ত্রির কাজ করে। আসামী রিফাত, আশিক, মহসিন ও অন্তর একসাথে চলাফেরা করত। গত ১ মে ২০২০ সালে রাতে তারা মহসিনের বাসায় ইয়াবা সেবন করে। আশিক তাদের ইয়াবা খাওয়া শেখায়। ইয়াবা খাওয়া শেষ হলে আশিক বলে চল একটা মোবাইল চুরি করে নিয়ে আসি। তখন মহসিনের বাসা হতে অন্তর তার বাসায় চলে যায়। আসামী রিফাত, আশিক ও মহসিন তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকার সোলায়মানের বাসায় যায়। ঐ বাসার নিচতলার মেসের রুমে বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থী তৌহিদ থাকত এবং আশিক তাকে পূর্ব থেকে চিনত। আসামী ৩জন ছাদ দিয়ে টপকে মেসে তৌহিদের রুমে যায়। তখন তৌহিদ সেহরী খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং তৌহিদের স্মার্ট ফোনটি জানালার পাশে টেবিলের উপর রাখা ছিল। প্রথমে মহসিন জানালা দিয়ে মোবাইলটি নিতে গেলে তৌহিদ দেখে ফেলে। পরে তৌহিদ দরজা খুলে বাহিরে আসলে আসামী আশিক তাকে জাপটে ধরে। আসামী রিফাত হাত ধরে। আসামী মহসিন দেড়হাত লম্বা লোহার রড দিয়ে তৌহিদের বুকে ঘাই মারে। তখন আসামী আশিকও তৌহিদকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর তৌহিদ ডাক চিৎকার শুরু করলে আসামীরা পালিয়ে মহসিনের বাসায় যেয়ে ঘুমিয়ে পরে।
পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলার এর এসপি গৌতম কুমার বিশ^াস বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থী তৌহিদ হত্যা মামলা। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলার অধিকতর তদন্তভার পিবিআই ময়মনসিংহ জেলাকে প্রদান করা হলে পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলা হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় আসামী মহসিন মিয়া (২৫) ও রিফাত (২৩)কে নিজ বাসা হতে গ্রেফতার করা হয়।###