গফরগাঁওয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল অনার্স পড়ুুয়া ছাত্রী

image

You must need to login..!

Description

‘স্টাফ রিপোর্টার,বিএমটিভি নিউজঃ কলেজে যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হওয়া অনার্স পড়ুয়া ছাত্রী ফাতেমা আক্তার (২২)অবশেষে জীবিত অবস্থায় নয় লাশ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। তার লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ফাতেমা আক্তার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের মাখল কালদাইর গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের মেয়ে। সে গফরগাঁও পৌর এলাকায় অবস্থিত আলতাফ গোলন্দাজ ডিগ্রী কলেজের সমাজ কর্ম বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
রবিবার (৩ অক্টোবর) কলেজ থেকে আসছি পরিবারের লোকজনকে এমন কথা বলে চলে যান ফাতেমা। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে রবিবার সন্ধ্যার পূর্বে গফরগাঁও উপজেলার খোদাবক্সপুর গ্রামের বুরহান উদ্দিনের পরিত্যক্ত ঘরের পাশে অচেতন অবস্থায় তাকে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। তখনো ফাতেমা ছিলেন অজ্ঞাত।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা আক্তার পরিবারের লোকজনের সাথে রবিবার সকালে গফরগাঁও উপজেলা সদরে আসেন। পরে তার পরিবারের লোকজন নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটার আইডি সংশোধনের কাজ করতে যান। আর ফাতেমা কলেজে যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হয়।
বিকালে খোদাবক্সপুর গ্রামে বুরহান উদ্দিনের পরিত্যাক্ত ঘরের পাশে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা ফাতেমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। খবর পেয়ে গফরগাঁও থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।


নিহতের ভাই আব্দুল্লাহ জানান, আমার বোনের সাথে বুরহান উদ্দিনের ছেলে মিরাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সে ফাতেমাকে ফোন করে নিয়ে থাকতে পারে। বিকালে মিরাজ কল করে জানায় যে, আপনাদের মেয়ে আমাদের বাড়িতে আছে এসে নিয়ে যান। পরে মিরাজের বাড়িতে যাওয়ার পথেই সংবাদ পাই আমার বোন হাসপাতালে। পরে হাসপাতালে এসে বোনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
নিহত কলেজ ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে একটি চিরকুট লিখে যায় বলে নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
চিরকুটটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
ভালো থেকো আমার সকল প্রিয়জনেরা সুখে থেকো। পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। সরি বাবা, সরি মা, সরি বোন তুই খোব ভালো থাকিস। আমি তোদের মাঝে থাকতে পারলাম না। পারলে সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিস। সরি মা পারলে আমায় ক্ষমা করে দিও। পৃথিবীতে তোমার থেকে আমি বেশি আর কাউকে ভালোবাসিনী। তোমাকে সামনে রেখে লিখছি। তোমাকে পড়ে শুনাতে পারলাম না। আমায় ক্ষমা করে দিও। ‘‘ ভালো থেকো সবাই’’
এদিকে কলেজ ছাত্রীর এমন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না। সবার একটাই প্রশ্ন প্রেমিক মিরাজের বাড়িতে এমন কি হয়েছিল। আর তার মৃত্যুই বা হলো কি করে।
আলতাফ গোলন্দাজ ডিগ্রী কলেজের সমাজ কর্ম বিভাগের প্রভাষক মোস্তাসিমুর রহমান বুলবুল বলেন, অনার্সের ছাত্র-ছাত্রীদের ফাতেমা খুবই বিনয়ী ও ভদ্র ছিলো। যথেষ্ট মেধাবীও ছিলো। তার মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবী করেন তিনি।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকূল সরকার বলেন, প্রথমে আমরা অজ্ঞাত পরিচয় লাশ উদ্ধার করি। পরে তার পরিচয় শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা হাফিজ উদ্দিন থানায় একটি মামলা করেছেন। ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।###

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার