প্রেমের টানে আসা সেই ফিলিপাইনের তরুণী হলেন ইউপি মেম্বার

image

You must need to login..!

Description

স্টাফ রিপোটার, বিএমটিভি নিউজঃ  ১০ বছর আগে জুলহাসের প্রেমে পড়ে বাংলাদেশে আসেন ফিলিপাইনের তরুণি জিন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকা। ধর্মান্তরিত হয়ে নতুন নাম রাখেন জেসমিন আক্তার জুলহাস। এরপর জুলহাসকে বিয়ে করে সংসার পাতেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নে। এলাকাবাসী অনুরোধে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত (১, ২ ও ৩ নম্বর) ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থী হন জেসমনি। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দ্বিগুণের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। মাইক প্রতীকে তিনি ভোট পান চার হাজার ৪৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বক প্রতীকের শিমু আক্তার পান এক হাজার ৮৩৭ ভোট।

ফিলিপাইনি তরুণি জিন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকার সঙ্গে বাংলাদেশি যুবক জুলহাসের প্রেমের গল্পের শুরুটা হয়েছিল সিঙ্গাপুরে। ১৯৯৮ সালে ফিলিপাইনের একটি নামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে চাকরি নেন সিঙ্গাপুরে।চাকরির সুবাদেই তার পরিচয় হয় বাংলাদেশি যুবক জুলহাস উদ্দিনের সঙ্গে। পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে চাকরি ছেড়ে জুলহাস বাংলাদেশ চলে আসেন, জিন ক্যাটামিনও তার দেশ ফিলিপাইনে চলে যান। তবে ফোনে তাদের যোগাযোগ ছিল। ২০১০ সালে জুলহাসের প্রেমের টানে জিন ক্যাটামিন চলে আসেন বাংলাদেশে। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলে জিন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকার নতুন নাম হয় জেসমিন আক্তার জুলহাস। বাংলাদেশে আসার পর তিনি এ দেশের নাগরিকত্ব পান। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দবরদস্তা গ্রামের আব্দুস সামাদ মণ্ডলের ছেলে জুলহাস উদ্দিন জানান, জেসমিন মানুষকে নানাভাবে উপকার করার চেষ্টা করেন। তার ভেতর নেতৃত্বের গুণ রয়েছে। তাই এলাকাবাসীর অনুরোধে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জেসমিন।
জেসমিন আক্তার জুলহাস বলেন, ‘আমার স্বামী জুলহাসের জন্য নিজের দেশ ও বাবা-মাকে ছেড়ে বাংলাদেশ ছুটে আসি। এ দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এলাকার গরিব-দুখী মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মেম্বার পদে নির্বাচনে করি। মানুষ ভালোবেসে আমাকে বিজয়ী করেছে। মানুষের ভালোবাসাকে কাজে লাগিয়ে তাদের সেবা করতে চাই।

এদিকে বিজয়ী হওয়ার পর জেসমিন গ্রামের রাস্তায় বেরোলেই উৎসুক মানুষ তাকে দেখতে ভিড় করছেন। তার মুখে ইংরেজি কথা শুনে অনেকেই আনন্দ প্রকাশ করেন। স্বামী জুলহাস মিয়া দোভাষী হিসেবে সাধারণ মানুষের কথা ইংরেজিতে অনুবাদ করে বুঝিয়ে দেন জেসমিনকে।