৫০তম ‍বিজয় দিবসে ৫০ কিঃমিঃ হাটবেন মুক্তিযুদ্ধের গল্পের ফেরিওয়ালা বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল

image

You must need to login..!

Description

মতিউল আলম, বিএমটিভি নিউজঃ: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ৫০ কিলোমিটার পথ হাটবেন মুক্তিযুদ্ধের গল্পের ফেরিওয়ালা বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল। ৬৯ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল মানবতার কল্যাণে এখনও যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। যার নিজম্ব কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তার চাওয়া পাওয়া একটাই মানুষের মুক্তি। অতি সাধারণ জীবনযাপন করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে উজ্জীবিত করতে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল এই পদযাত্রা করবেন। এ লক্ষে মুক্তিযোদ্ধার বিজয় পদযাত্রা সমন্বয় কমিটি আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর ৬৯ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল তার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত এলাকা জেলার সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট মেঘালয় সীমান্ত এলাকা থেকে ভোর ৪ টায় পদযাত্রা শুরু করবেন এবং ঐদিনই বিকেল ৪টায় ৫০ কি.মি. সড়ক পথ পায়ে হেটে তিনি ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজে বঙ্গবন্ধু চত্বরে শেষ করবেন। এই সময় ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু তাকে বরণ করবেন।

বিমল পাল বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে তার এ পদযাত্রা কর্মসূচি। ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস। ঐদিন এই কর্মসূচি পালন করবেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক শংকর সাহা, সদস্য সচিব এড. মতিউর রহমান ফয়সাল, ইয়াজদানী কোরায়শী কাজল, মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল, সাংবাদিক ইমাম উদ্দিন মুক্তা বক্তব্য রাখেন।

এদিকে, ৬৯ বছর বয়সের বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল ৫০ কিলোমিটার হাটবেন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তাকে সহায়তা করতে ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স, সিটি কর্পোরেশন, সেইভ দ্যা ফিউচার, স্কাউটসহ ২৬ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠণ এগিয়ে এসেছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার তেলিখালিতে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্বা বিমল পাল।

নগরীর থানার ঘাট এলাকার মনিহারী দোকানী বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল ময়মনসিংহ শহরের কোনো পার্কে, কখনো কোনো স্কুলে ছেলেমেয়েদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলে বেড়ান। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলার জন্য তাঁর ডাক পড়ে। নিজের যুদ্ধের কাহিনী নিয়ে ছোট্ট একটি বই বের করেছেন। এলাকায় তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পের ফেরিওয়ালা’ বলে পরিচিত। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা কাজেও তিনি যুক্ত। এ নগরীর বহু সামাজিক ও মানবিক কাজেও সর্বদা তাকে পাওয়া যায়। করোনা কালেও ছিলেন মৃতদের লাশ সৎকার করা সহ নানা মানবিক স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার