ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিতে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ নিহত ২

image

You must need to login..!

Description

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, বিএমটিভি নিউজঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নাটঘরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মারা গেছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ভাড়ায় চালিত এক মোটরসাইকেল চালক। নিহতরা হচ্ছেন- নান্দুরা গ্রামের মো. এরশাদুল হক (৩৮) ও কুড়িঘর গ্রামের বাদল সরকার (২৭)। এরশাদুল বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পূর্ব বিরোধে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ২ জন নিহতের ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে নাটঘর গ্রামে। প্রতিপক্ষের ঘরবাড়িতে হামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নবীনগরের নাটঘর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী নান্দুরা গ্রামের মো. এরশাদুল হক (৩৮) ওয়াজ মাহফিল থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফেরার পথে কুড়িঘর বাজারের পূর্ব পাশে জনৈক ছিদ্দিক মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা গুলি করে। এতে মোটরসাইকেল চালক বাদল সরকারের (২৭) মাথায় গুলি লাগলে বাদল ঘটনাস্থলেই মারা যান।

মো. এরশাদুল হকের কানে ও গলায় গুলি লেগে গুরুতর আহত হন। গুলিবিদ্ধ এরশাদকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা প্রদান শেষে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঢাকায় নেয়ার পর রাত আড়াইটার দিকে মারা যান তিনি। এরশাদ নাটঘর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে। আর বাদল কুড়িঘর গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত দু-তিন বছর পূর্বে গোষ্ঠীগত দাঙ্গায় এরশাদের চাচাতো ভাই মারা যান। ওই ঘটনায় এরশাদের পক্ষ প্রতিপক্ষের বাড়িঘর লুটপাট করে এবং মামলা দেয়। এরশাদুল হক বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ২রা এপ্রিল নবীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। কুড়িঘর গ্রামের আবদুল মালেককে প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দেয়া হয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ওই মামলার আসামিরা কিছুদিন আগে এলাকায় এলে তাদের আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। পূর্বের এই বিরোধের জেরে গত রাতের ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।

এদিকে নাটঘর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কাশেমের ছেলের মৃত্যুর সংবাদে রাতেই প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িতে হামলা হয়। ভাঙচুর লুটপাট চালানো হয়। ঘটনার পরপর প্রতিপক্ষের নারী-পুরুষ সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বাদল সরকারের মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এবং এরশাদুল হকের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।