সাতাশ কোটি টাকা ব্যয়ে মার্কেটসহ কর্মজীবী নারীদের হোস্টেল নির্মাণ করছে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ

image

You must need to login..!

Description

মতিউল আলম, বিএমটিভি নিউজঃ  সাতাশ কোটি ঊনিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্মলিত ১০ম তলা বিশিস্ট কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল-কাম-বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করবে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ। প্রকল্পটি জেলা পরিষদের রাজস্ব অর্থায়নে এবং সালামীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে নগরীতে বেড়েছে কর্মচাঞ্চল্যতা। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। এসব কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপশি নারীদের অংশ গ্রহন বেড়েছে। কিন্তু এসকল কর্মজীবি নারীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে নিরাপদ আবাসনের কোনো ব্যবস্থা না থাকা। তাদের এ সমস্যা সমাধানে সরকারিভাবে নেই তেমন কোন সুযোগ। তবে তাদের কথা চিন্তা করে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ তৈরি করছে অত্যাধুনিক মানের কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল।
ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের জন্য নির্ধারিত স্থানের ডিজিটাল সার্ভে, সাব-সয়েল ইনভেস্টিগেশন, প্ল্যাান, ডিজাইন ও প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে।


জেলা পরিষদের সচিব লীরা তরফদার জানান, কর্মজীবী নারীদের আবাসন পেতে নানা ভোগান্তির কথা চিন্তা করে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
নগরীর ফুলবাড়ীয়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জিলা স্কুলের সম্মুখে জেলা পরিষদের নিজস্ব জমিতে কর্মজীবি মহিলা হোস্টেল নির্মাণ প্রকল্পটি জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ময়মনসিংহ টাউন মৌজায় ০.৩২০০ একর নিষ্ককন্টক জমির উপর নির্মিত হবে।
তিরি আরো জানান, প্রস্তাবিত কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল-কাম-বাণিজ্যিক ভবনে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্মলিত বেইজমেন্টে কার পার্কিং, গ্রাউন্ড ফ্লোরে সুপার শপ, ১ম, ২য় ও তয় তলায় ব্যাংক/বীমা প্রতিষ্ঠান এবং ৪র্থ তলা হতে ১০ম তলায় কর্মজীবি মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হবে।
প্রস্তুতকৃত ডিজাইন মোতাবেক ভবন নির্মাণের সম্ভাব্য প্রাক্কলিত ব্যয় এলজিইডি’র রেইট সিডিউল-২০১৯ অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে সাতাশ কোটি ঊনিশ লক্ষ। প্রকল্পটি জেলা পরিষদের রাজস্ব অর্থায়নে এবং সালামীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
লীরা তরফদার মনে করেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কর্মজীবী নারীদের আবাসন সংকট কিছুটা হলেও মিঠবে। পাশাপশি প্রকল্পটি বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ও জেলার সদরের বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় উক্ত জায়গায়টি অবৈধ দখলমুক্ত রাখা যাবে এবং জেলা পরিষদের আয় বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
জেলা পরিষদের এমন উদ্যোগের কথা শুনে ইতিমধ্যে খুশি ময়মনসিংহের কর্মজীবী নারীরা। তারা বলছেন আমরা কর্মক্ষেত্রে কাজের প্রয়োজনে শহরে থাকতে হয়। ফলে পড়তে হয় নানা ভোগান্তিতে। একা কোনো নারীকে কেউ বাসা ভাড়া দিতে চান না। অনেক নারী ভাড়া বাসায় মেস করে থাকেন। কিন্তু সেখানেও রয়েছে নানা সমস্যা। এ ছাড়া নিরাপত্তারও অভাব রয়েছে।
গোধূলি নারী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সৈয়দা সেলিমা আজাদ বলেন, দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরে কর্মজীবী নারীদের জন্য সরকারি ভাবে আবাসনের ব্যবস্থা থাকলেও ময়মনসিংহে নেই। দীর্ঘদিন পরে হলেও জেলা পরিষদ এই ধরনের একটি উদ্যোগ গ্রহন করায় আমরা নারী সমাজের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই।
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের অন্যতম চাবিকাঠি হচ্ছে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি, যা নারীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমেই অর্জন সম্ভব। নারীর ক্ষমতায়নের নারীর যোগ্যতা, দক্ষতা, মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে। তবে অর্জিত যোগ্যতা, দক্ষতা ও মানসিক শক্তি কাজে লাগানোর অনুকুল পরিবেশ তৈরি করাও আমাদের দায়িত্ব। তাইতো কর্মজীবী নারীদের নিরাপদ আবাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে কর্মজীবী নারী হোস্টেল। ###

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার