You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ দেশের ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিকের জন্য একটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়ন এবং কর্তৃপক্ষ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দেশের ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিককে পেনশন সুবিধার আওতায় আনতে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ এক বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন।
বর্তমানে দেশে শুধু সরকারি কর্মচারীরা পেনশন পেলেও বেসরকারি চাকরিজীবীসহ সবাইকে পেনশনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি ছিল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ‘সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা’ বিষয়ে প্রণীত কৌশলপত্রের উপর উপস্থাপনা প্রদান করেন। দেশের আপামর জনগণের জন্য বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রীর সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের অঙ্গীকারের আলোকে এই কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার আলোকে প্রণীত কৌশলপত্রের উপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ছাড়া তিনি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে জরুরিভিত্তিতে একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দেন।
বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও হতদরিদ্র মানুষকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার পরিকল্পনা সাজানোর কথা এর আগে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন। এর আগে ২০১৬ সালের বাজেট বক্তৃতায় সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও পেনশনের আওতায় আনার চিন্তার কথা বলেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি তখন বলেছিলেন, দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত, তারাই পেনশন সুবিধা পান। বাকি ৯৫ শতাংশের মধ্যে প্রায় ৮ শতাংশ গ্রাচ্যুইটি সুবিধা পেলেও অন্যদের জন্য সে সুবিধাও নেই।
বয়োজ্যেষ্ঠ সবাইকে পেনশন দেয়ার ভাবনার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছিলেন, মানুষের গড় আয়ু বাড়ার কারণে প্রবীণদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, বিপরীতে নগরায়নের ফলে প্রবীণদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীন হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রবীণদের শেষ জীবনে আর্থিক সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন এখন ‘সময়ের দাবি’।