বাংলা ভাষার ব্যবহার সকলক্ষেত্রে এখন উপেক্ষিত- ময়মনসিংহের এসপি আহমার উজ্জামান

image

You must need to login..!

Description

স্টাফ রির্পোটার,বিএমটিভি নিউজঃ ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান বলেছেন, আমরা যে ভাষায় কথা বলছি সেই ভাষার জন্য আমাদের রক্ত দিতে হয়েছে। অন্য কোন ভাষার জন্য কাউকে রক্ত দিতে হয়নি। সেই বাংলা ভাষার এখন দুর্দিন চলছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আগে কিংবা পরে বাংলা নিয়ে কাউকে কথা বলতে দেখা যায়না। বাংলা ভাষার ব্যবহার সকলক্ষেত্রে এখন উপেক্ষিত হচ্ছে। যারা দেশের উচ্চ পর্যায়ে কিংবা কুলিন পর্যায়ে তারাই ইংরেজী বেশি ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ দুএকটি ইংরেজি বলতে পেরে নিজেদেরকে গর্বিত মনে করছে। যা মুটেই কাম্য নয়।

আজ সোমবার ময়মনসিংহে মহান শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উপলক্ষে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) ময়মনসিংহের আয়োজনে পুলিশ পোষ্যদের অনলাইন রচনা, চিত্রাংকন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান ।

পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) ময়মনসিংহের সভাপতি মিসেস কানিজ আহমারের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাল্গনী নন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন, পুনাকের সহ-সভানেত্রী তাহমিনা আফরোজ তানি, রায়হানা তাহসীন, ইসরাত তানজিয়া, ডাঃ শারমীন আক্তার, ফারহানা ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বী, রায়হানুল ইসলাম, মোঃ হাফিজুর রহমান, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) বেলায়েত হোসেন সহ কোতোয়ালি ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা এবং অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান বলেন, মহান শহীদ দিবস দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পুনাকের উদ্যোগে প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারি প্রতিটি শিশু চমৎকারভাবে তাদের মেধা ও যোগ্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। তারা সকলেই এত সুন্দর করেছে যে এদের মধ্যে কে প্রথম কে দ্বিতীয় হয়েছে তা নির্ধারণ করা অনেক কঠিন। আমার মনে হয় তারা সবাই প্রথম হয়েছে। এর পরও যোগ্যদেরকে বিজয়ী করা হয়েছে।
শিশু কিশোরদের উদ্দেশ্য পুলিশ সুপার বলেন, আমরা যে ভাষায় কথা বলছি সেই ভাষার জন্য আমাদের রক্ত দিতে হয়েছে। অন্য কোন ভাষার জন্য কাউকে রক্ত দিতে হয়নি। সেই বাংলা ভাষার এখন দুর্দিন চলছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আগে কিংবা পরে বাংলা নিয়ে কাউকে কথা বলতে দেখা যায়না। বাংলা ভাষার ব্যবহার সকলক্ষেত্রে এখন উপেক্ষিত হচ্ছে। যারা দেশের উচ্চ পর্যায়ে কিংবা কুলিন পর্যায়ে তারাই ইংরেজী বেশি ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ দুএকটি ইংরেজি বলতে পেরে নিজেদেরকে গর্বিত মনে করছে। যা মুটেই কাম্য নয়। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে একমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হলে দিনে দিনে বাংলা ভাষা আরো হারিয়ে যাবে। অবিলম্বে একমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা উচিত। তিনি আরো বলেন, যে জাতি মাতৃভাষার প্রতি বেশি মমত্ববোধ দেখিয়েছে সেই জাতি তত উন্নত হয়েছে। এ জন্য মমত্ববোধকে বেশি করে জাগ্রত করতে করতে হবে। শিশুকিশোরদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, প্রতিযোগীতামুলক বিশ্বে তোমাদেরকে প্রতিযোগী করে তুলতে হবে। এ জন্য সকল বিষয়ে আরো বেশি জানার চেষ্ঠা করতে হবে।
পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভাপতি কানিজ আহমার বলেন, ছোট্ট সোনামনিদেরকে উৎসাহিত এবং সঠিকভাবে পরিচালিত করতে এই আয়োজন করা হয়েছে। ছোট্টমনিরা সকলেই যোগ্য। প্রত্যেকেই অত্যন্ত চমৎকার, আকর্ষণীয় এবং সুন্দরভাবে তাদের মেধার প্রকাশ ঘটিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলা ভাষা একটি বিকৃত পথে চলছে। এ থেকে বের হতেই আজকের এই আয়োজন। বাংলা ভাষার সঠিক চর্চা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গ্রপে ৪৩ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। এর মাঝে পুলিশ সুপার পুত্র মোঃ সাইফি হোসাইন রচনা প্রতিযোগীতায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পুত্র খন্দকার তহমিদ রাব্বি কবিতা আবৃতি খ-বিভাগে এবং কোতোয়ালীর ওসি শাহ কামাল আকন্দের কন্যা ইসরাত জাহান রিফা কবিতা আবৃতি ক- বিভাগে ছাড়াও একাধিক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে।###

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার