
You must need to login..!
Description
মতিউল আলম,বিএমটিভি নিউজঃ বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি প্রতারক, মিথ্যাবাদীদল, অত্যাচারী দল। নির্বাচন কমিশন যেটাই হোক আমরা তাদের বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনের সময় সরকার থাকে, তাহলে কোন নির্বাচন কমিশন সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছেড়ে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওরা আমাদের সাথে প্রতারনা করেছে। ওরা বলে ছিল তারা একটি নির্বাচন দিবে, দেয়নি।
বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ নতুন বাজার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলীর পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠকি সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শরিফুল ইসলাম, শাহ শহীদ সারোয়ার, সাইফুল আলম মিলন, কৃষিবিদ হাসান সাব্বির মিলন, ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান লিটন, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু কাজী রানা, আলমগীর মাহমুদ আলম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যত বার ক্ষমতায় এসেছে জনগণের সাথে ততবার বেইমানি করেছে। আওয়ামী লীগ বলেছিল ক্ষমতায় আসলে ১০ কেজি চাল খাওয়াবে, বলেছিল ঘরে গরে চাকুরী দিবে। বলেছিল বিনা পয়সা সার দিবে। কিন্তু দেয়নি। এটাই হচ্ছে আওয়ামীলীগ। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, মিথ্যা বলে ভোট নিয়ে ক্ষমতায় বসে জনগণকে লাত্তি মরেছে। আওয়ামী লীগ বলেছিল এই দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কথা বলার অধিকার দেয়া হবে। আমরা যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে ছিলাম সেই স্বপ্ন আজ ধুলিসাত হয়ে গেছে। আজ মানুষের কথা বলার অধিকার, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আওয়ামীলীগ জনগণকে বন্দী করে ফেলেছে।
আজকের এই সভার আয়োজন করায় বিএনপির ২জন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সভার আয়োজন করা আমার সাংবিধানিক অধিকার। আমি এ অধিকার যুদ্ধ করে পেয়েছি। জনগণ আমাকে সভার করার অধিকার দিয়েছে সংবিধান তৈরী করে। আওয়ামী লীগ কি করেছে এই সংবিধানকে লংঘন করে জনগণকে কৃতদাসে পরিণত করতে চাইছে। আজকে মানুষের মুখে হাসি নাই। চোখের ভাষা বুঝতে চেষ্টার করেন। গণমাধ্যম আছে অনেক কিন্তু তাদের লেখার ক্ষমতা তাদের নেই। ডিজিটাল আইন দিয়ে সরকার মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করেছে।
১৯৭১ সালে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষনা পর এই দেশের মানুষ ঝাপিয়ে পড়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়ে ছিল। তারা যুদ্ধ করেছিল তারা কথা বলতে পারবে, মানুষে মানুষে বিভেদ থাকবে না সুন্দর একটা সমাজ হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, অনেকেই আমাকে বলছে ডা. জাফরুল্লাহ এই নির্বাচন কমিশনকে অনেক ভালো বলেছেন, আপনারাও মেনে নেন। আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এটা তার নিজস্ব মন্তব্য। তিনি সবার শ্রদ্ধার মানুষ, জ্ঞানী মানুষ। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি বিএনপির পক্ষে কথা বলার কেউ নন। তার বক্তব্য বিএনপির বক্তব্য নয়।
মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থাটা আওয়ামী লীগ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এরা নির্বাচন করবে কিন্তু মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে তাও নিশ্চিত করবে। তারা তাদের মতো করে সিল মেরে কিংবা ইভিএম দিয়ে ভোট নিয়ে তাদের সরকার তৈরি করবে। অর্থাৎ তারা ক্ষমতায় থাকবে ঠিকই, শুধু তারা দেখাবে যে নির্বাচন করেছি।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করা হয়েছে। সরকার যা হুকুম দেয় তাদেরকে তাই করতে হয়। বেগম খালেদা জিয়ার মামলা একটি মিথ্যা মামলা। যার কোনো সত্যতা নেই। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা লুপাট করে নিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা, সেখানে একটা মামলাও হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের এবং অঙ্গ সংগঠনের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত , এমন কোনো নেতা নেই যার বিরুদ্ধে ১০ থেকে ১৫টা করে মামলা নেই। পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য তারা এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে রিকশা-ভ্যান চালায়, হকারি আর নৈশ্য প্রহরের কাজ করে।