ময়মনসিংহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

image

You must need to login..!

Description

স্টাফ রির্পোটার,বিএমটিভি নিউজঃ  ময়মনসিংহ নগরীতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাগ করে ১০ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক স্কুলছাত্রী। রোববার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে স্বদেশী বাজার এলাকায় সড়কের ওপর পড়ে তার মৃত্যু হয়।

নিহত অর্কপ্রিয়া ধর শ্রীজা (১৬) ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সে ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও ছড়াকার স্বপন ধরের মেয়ে।

আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাসও দেয় অর্কপ্রিয়া। সেখানে সে নিজের স্বাধীনতার ওপর বাবা-মা-ভাইয়ের হস্তক্ষেপের কারণে তাদের প্রতি দীর্ঘ দিনের ক্ষোভের কথা তুলে ধরে।

স্ট্যাটাসে লিখে যারা বলেন, বাবা মার সাথে একটু ঝগড়া হইলেই মইরা যাওয়া লাগে? … ৩ বছর ধরে সুইসাইডাল চিন্তায় ভুইগা আমার এতদিনে সাহস হইসে।… আপনার মনে হয় আমার খুব ইচ্ছা ছিল মরার ? বাধ্য হইসি। আপনাদের তৈরি সমাজ আর পেরেন্টিং এর কারনে..।’ মৃত্যুর আগে নিজের ফেসবুক পেইজে ৫০০ শব্দের এমন সব কথার ষ্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করে অর্কপ্রিয়া ধর শ্রীজা নামের এক স্কুল ছাত্রী।

শ্রীজা ধর ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক স্বপন ধর ও মুক্তাগাছা উপজেলার এক স্কুল শিক্ষিকা অর্পণা দের কন্যা। সে সরকারি বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তারা এক ভাই এক বোন। তাদের বাসা নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায়। ঘটনাস্থল তাঁর এক খালার বাসা। সেখানে খালা-খালু ও নানী বসবাস করেন। এ ঘটনা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

শ্রীজা ধরের মা অর্পণা দে সাংবাদিকদের জানান, এক সপ্তাহ ধরে শ্রীজা অসুস্থ ছিল। শুধু বলতো তার মাথা ব্যাথা। পড়া মনে থাকে না। তাকে চিকিৎসক দেখানো হয়েছে। সকালে তাকে বাসায় রেখে স্কুলে চলে যান তিনি। বাবা স্বপন ধর মেয়ের লাশ ঝাপটে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। নির্বাক হয়ে কারো কোনো কথার জবাব দিচ্ছেন না।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা যায় যে, দুপুর একটার দিকে শ্রীজা একাই ছাদে গেছে। তার ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে মনে হয় সে আত্মহত্যা করেছে। ছাদ থেকে একটি স্কুল ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। ##

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার