নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাঁকা আসনে ভর্তির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভ নিউজ ডেস্কঃজাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়) স্নাতক প্রথম বর্ষে পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে ফাঁকা আসনগুলো অতি শীঘ্রই পূরণ করা ,পুনরায় মাইগ্রেশন চালু করার দাবী জানিয়েছে  ভর্তিচ্ছু ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  ভর্তিচ্ছু ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং মানববন্ধনের ডাক দেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০ মার্চ (রবিবার) সকাল ১১ টা থেকে ২ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা  পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে ফাঁকা আসনগুলো অতি শীঘ্রই পূরণ করা ,পুনরায় মাইগ্রেশন চালু করার দাবী জানান।

]জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে আসন ফাঁকা রয়েছে দুই শতাধিক। গত ১৬ই মার্চ ২০২২ (বুধবার) এই ফাঁকা আসনে নতুন করে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করাবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী হাবিব বলেন “আমার বাসা ময়মনসিংহ। ভর্তি কার্যক্রম চালু না রাখায় একটি ইউনিটে অপেক্ষমান তালিকার প্রথমে থেকেও ভর্তি হতে পারছি না। অথচ ২০০ আসন খালি পড়ে আছে। আমাদের কষ্টের টাকার কি কোনো মূল্য নেই? অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে এখনো ভর্তি নিচ্ছে সেখানে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র দুইটি মেধাতালিকা দিয়েই সীট খালি রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে। যা কোনোভাবেই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নয়। আপনাদের কাছে এটা একটা সিট হলেও আমাদের কাছে এক একটা স্বপ্ন’

স্মারকলিপিতে বলা হয়,”আমরা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের সাধারণ শিক্ষার্থী। ভর্তি কার্যক্রমে ২০০ এর অধিক আসন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও ভর্তি কার্যক্রম এবং মাইগ্রেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে নতুন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছে না। ফলক্রমে শিক্ষার্থীরা হতাশায় ভুগছে। তাই পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে ফাঁকা আসন পূরণ করা এবং মাইগ্রেশন চালু করার জন্য অনুরোধ করা হলো। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে নিম্নোক্ত দাবিগুলো পূরণ করতে প্রশাসন অনতিবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।”

উল্লেখ্য,২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ছয়টি অনুষদে সর্বমোট এক হাজার নব্বইটি আসনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দুইবার মেধাতালিকা প্রকাশ ও কোটায় ভর্তির পরও প্রায় দুই শতাধিক আসন ফাঁকা আছে বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার।