বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান প্রায় ৮ শতাধিক যাত্রী ও ট্রেনটি। স্থানীয়রা রেললাইন ভাঙা দেখে গেটম্যানকে খবর দেন । তৎক্ষণাৎ গেটম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশান উড়ালে থেমে যায় ট্রেন। বেঁচে যান ট্রেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালের ফাতেমা নগর আউটার সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকালের দিকে ফাতেমা নগর আউটার সংলগ্ন এলাকায় রেললাইন ভাঙা দেখে স্থানীয় গেটম্যান শাহজাহান মিয়াকে ঘটনাটি জানান এলাকাবাসী। পরে গেটম্যান শাহজাহান মিয়া দৌড়ে গিয়ে তার হাতে থাকা নিশান উড়ালে ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনটি থামান চালক। প্রায় ২০ মিনিট পর রেললাইনটি মেরামত হলে ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ময়মনসিংহ থেকে ইজ্জতপুর পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ। ১০০ বছরের পুরোনো এই রেললাইনে প্রায়ই স্লিপার সরে যায়, রেললাইন ফেটে যায়। যে কারণে এই রাস্তার সর্বোচ্চ গতিসীমা দেওয়া হয়েছে ৪০ কিলোমিটার। তবে কোনো চালক এই গতিসীমা মানেন না। এতে প্রায়ই এই লাইনে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।
সূত্র জানায়, এই রুটে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৪০ কিলোমিটার। এই রুট দিয়ে তিস্তা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, হাওর এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ও যমুনা এক্সপ্রেস চলাচল করে।এ রুটে ট্রেনে নিয়মিত চলাচলকারী জগলুল পাশা রুশু বলেন, উন্নত বিশ্বে যখন বুলেট ট্রেন চলছে, তখন ময়মনসিংহ-ঢাকা রেললাইন ১০০ বছরের পুরোনো। যে কারণে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। অথচ এই ১২৪ কিলোমিটার রাস্তা ট্রেনে যেতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগার কথা।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ উপ-বিভাগের সরকারি নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ণ প্রসাদ সরকার বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনা আমাকে কেউ জানায়নি। তবে ওই রাস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ, যে কারণে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৪০ কিলোমিটার করা হয়েছে।
রেললাইনের কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইজ্জতপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত কাজ চলছিল। ১০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে কাজ শেষে চালু হবে বলেও জানান তিনি।