You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ গান, আবৃত্তি এবং নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ্, ময়মনসিংহ শাখার আয়োজনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মোৎসব পালিত হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্রের পাড় ঘেঁষে জয়নুল উদ্যানের বৈশাখী মঞ্চে এ আয়োজন শুরু হয় ভোর ৬ টা থেকে। জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ্, ময়মনসিংহ শাখা দীর্ঘ প্রায় তিন দশক যাবৎ রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তীর এ আয়োজন করে আসছে।
আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন শিশুতীর্থ আনন্দধ্বনি সংগীত বিদ্যায়তনের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। বিদ্যায়তনের অধ্যক্ষ মো.মামুনুল ইসলামের নেতৃত্বে গানের দল সংগীত পরিবেশন করেন। শিক্ষক মানস তালুকদারের নির্দেশনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীগণ। আফরিন জাহান লামইয়ার তত্বাবধানে চলে আবৃত্তি শিল্পদের পরিবেশনা। ‘হে নূতন দেখা দিক আরবার ‘ গানের মাধ্যমে শুরু হয়ে ‘ওই মহামানব আসে ‘ গান দিয়ে শেষ হয় প্রায় আড়াই ঘন্টার এই আয়োজন।
জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, ময়মনসিংহ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুল ইসলাম বলেন, নাগরিক সংস্কৃতি চর্চার আদর্শ রবীন্দ্রনাথ। হাজার বছরের বাঙালির ঐতিহ্যের রেশ টেনে রবীন্দ্রনাথ সুন্দরের পথ দেখিয়েছেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার। তার জন্মদিন আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় সভ্যতার বিকাশে আমাদের করণীয় সম্পর্কে।
সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ড.মঞ্জুরুল আলম বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের জন্য সংস্কৃতির সিংহ দরজাটি খুলে দিয়েছেন। তার কর্মের ডালা থেকে ফুলগুলো দিয়ে আমরা আমাদের সমাজকে সাজাতে পারি। তার কৃতি আমাদেরকে মুক্তি দিতে পারে বর্তমানের নানা সংকট।
সম্মিলন পরিষদের এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে উৎসবমুখর পরিবেশে রবীন্দ্র জন্মোৎসব পালনের সূচনা হয়।
এদিকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ময়মনসিংহ জেলা শাখা অফিসে আজ সকালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্র সঙ্গীত ও আবৃতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মেহেদী জামান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন আবৃতিকার ও প্রশিক্ষক আমজাদ দোলন ও জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, ময়মনসিংহ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সঙ্গীত শিক্ষক মো. মামুনুল ইসলাম প্রমুখ।