You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ গাইবান্ধার পৌর এলাকায় কথিত দাফনের ৯ মাস পর কবর থেকে উঠে আসা ৯২ বছরের বৃদ্ধ বাছিরন বেওয়ার প্রকৃত পরিচয় মিলেছে। তার প্রকৃত নাম শেফালী সরদার। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তিনি খুলনা জেলার দৌলতপুর থেকে পথ হারিয়ে গাইবান্ধায় আসেন। গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ আজ সকালে তাকে আশ্রয় দেয়া সুফিয়া বেগমের কাছে হস্তান্তর করেন।
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, বৃদ্ধার খবর পেয়ে খুলনার দৌলতপুরের বাসিন্দা সুফিয়া বেগম আজ সকালে গাইবান্ধা থানায় আসেন। তিনি বলেন, বৃদ্ধার নাম বাছিরন বেওয়া নয়। তার প্রকৃত নাম শেফালী সরদার। তিনি প্রতিবন্ধি বলে তার নামে একটি প্রতিবন্ধি কার্ডও প্রদর্শন করেন।
বৃদ্ধাকে নিতে আসা সুফিয়া বেগম জানান, শেফালী সরদারের আত্মীয়- স্বজন কেউ নেই। তার কোন ঘরবাড়িও নেই। তিনি তার বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ আশ্রিতা হিসাবে থাকতেন। প্রতিবন্ধি বলে তার নামে প্রতিবন্ধির কার্ডও দেয়া হয়েছে।
এই খবরের ভিত্তিতে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি তদন্ত ওয়াহেদুল ইসলাম টেলিফোনে খুলনার দৌলতপুরে বৃদ্ধার আশ্রিতার গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে সত্যতা যাচাই বাছাই করেন
পরিচয়ের সত্যতা মিলে গেলে আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় প্রতিবন্ধি বৃদ্ধা শেফালী সরদারকে হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য গাইবান্ধার পৌর এলাকায় দাফনের ৯ মাস পর কবর থেকে এক বৃদ্ধ নারীর উঠে আসার গুজবের ঘটনায় ওই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি জানাজানির পর জেলাজুড়েই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার দুপুরে (১১ মে) দুপুরে গাইবান্ধা পৌর এলাকার ডেভিট কোম্পানি পাড়ার আব্দুর রশিদ ওরফে গেদার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এরআগে, সকালে গাইবান্ধা স্টেশন এলাকা থেকে ওই নারীকে কে বা কারা ডেকে নিয়ে আব্দুর রশিদের বাসায় রেখে যায়। ঘটনা জানাজানির পর ওই নারীকে দেখতে ক্রমেই বাসায় উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
স্থানীয়রা জানান, ডেভিট কোম্পানি পাড়ার মৃত্যু বাহার শেখের স্ত্রী বাছিরন বেওয়া গত ৯ মাস আগে মারা যান। পরে স্টেশন জামে মসজিদে জানাজা নামাজ শেষে তাকে পৌর গোরস্থানে দাফন করা হয়। কিন্তু বুধবার (১১ মে) সকালে আব্দুর রশিদের বাসায় তার মায়ের মতো দেখতে ওই বৃদ্ধাকে দেখে হৈ-চৈ পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হলে আশপাশের অনেক লোকজন তাকে এক নজর দেখতে বাসায় ভিড় জমায়। পরে ঘটনা বেগতিক দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই নারীকে আটক করে নিয়ে যায়।
বাসা মালিক আব্দুর রশিদ ওরফে গেদা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে স্টেশন এলাকায় ওই নারীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন তিনি। বৃদ্ধ নারী দেখতে তার মায়ের মতোই হওয়ায় তার সঙ্গে কিছু সময় কথা বলেন তিনি। পরে শোয়ার জায়গায় তাকে একটি কয়েল জ্বালিয়ে দিয়ে বাসায় ফেরেন। বুধবার সকালে কে বা কারা ওই বৃদ্ধাকে তার বাসায় রেখে যায়। পরে বাসায় আসার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলেও তিনি কিছু জানাতে পারেনি।
মৃত বছিরন বেওয়ার বড় মেয়ে সাহেদা বেগম জানান, তার মায়ের মৃত্যুর পর তাকে কবরস্থানে দাফন করা হয়। রেল স্টেশন থেকে আসা বৃদ্ধ নারী তার মা নন, তবে তিনি মায়ের মতোই কিছুটা দেখতে। তিনি বলেন, ‘একজনের মতো দেখতে আরও মানুষ থাকতে পারেন। কিন্তু কিছু লোক এ নিয়ে অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন, বিষয়টি ঠিক নয়।’