You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ
তথ্য প্রযুক্তি খাতের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ মানব সম্পদ গঠন এবং ই-সার্ভিস প্রতিষ্ঠার প্রয়োগ নিশ্চিতকরণে সরকারের প্রচারণার ঘাটতি নেই। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ।
সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসনে প্রযুক্তি শাখা গঠন করে একজন কর্মকর্তাকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হলেও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটগুলোতে নেই সরকার কতৃক উন্নয়ন প্রকল্প, টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও কর্মসৃজন প্রকল্পের হালনাগাদ কোনো তথ্য।
এর ফলে ডিজিটাল তথ্য সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি যেমন দুরূহ হয়ে পড়েছে, তেমনি ব্যাহত হচ্ছে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম। অথচ সরকারি প্রতিটি দপ্তরের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য থাকা বাধ্যতামূলক।
সোমবার (৩০ মে) বিকেলে এবিষয়ে কথা হয় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের প্রযুক্তি শাখার সহকারী কমিশনার জান্নাতুল মাওয়ার সঙ্গে। এ সময় তিনি খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মাসে ওয়েবসাইট আপডেট করা উচিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই ধরনের মন্তব্য করেছেন জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো সারোয়ার হোসেন। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটগুলোতে উন্নয়ন প্রকল্প, টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও কর্মসৃজন প্রকল্পের হালনাগাদ তথ্য নেই স্বীকার করে বলেন, স্ব-স্ব প্রকল্প কার্যালয়ের কর্মকতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে প্রকল্পের তথ্য হালনাগাদ করার জন্য। কিন্তু কেন তা হচ্ছে না, বিষটি খতিয়ে দেখা হবে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, জেলার সদর, তারাকান্দা, মুক্তাগাছা, গৌরিপুর, নান্দাইল, ফুলবাড়িয়া উপজেলার ওয়েবসাইটে নামমাত্র কিছু তথ্য সন্নিবেশিত থাকলেও তা অনেক পুরোনো। ফলে এসব ওয়েবসাইটে তথ্য লুকোচুরির কারণে সরকারে উন্নয়ন প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিষয়টি এক ধরনের অনিয়ম বলেও মনে করছেন সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি ওয়েবসাইট হালনাগাদ তথ্যের নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে দেশের প্রতিটি দপ্তরে। কিন্তু এ নির্দেশনার পরও বাস্তবিক কোনো পরিবর্তন নেই ময়মনসিংহে।
ময়মনসিংহ জেলার তথ্য ও যোগাযোগ দপ্তরের প্রোগ্রামার নুরে আলম সিদ্দিক জানান, ময়মনসিংহের সবগুলো সরকারি দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট আছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আওতায় রয়েছে ৮৯টি। এর বাইরে জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রতিটি দপ্তরে একটি করে ওয়েবসাইট রয়েছে।
আর এসব ওয়েবসাইটের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একজন করে কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের নিকট ইউজার আইডিসহ পাসওয়ার্ড দেওয়া আছে। এছাড়া এসব ওয়েবসাইট তদারকির জন্য জেলার ৮টি উপজেলায় একজন করে সহকারী গ্রোগামারও রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ওয়েবসাইটে তথ্য হালনাগাদ না করা একটি অপরাধ। জেলা প্রশাসনের প্রতিটি মাসিক সভায় ওয়েবসাইটে তথ্য হালনাগাদ করার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। তবে দ্রুত হালনাগাদ তথ্য না থাকা ওয়েবসাইটগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুত্র বাংলা নিউজ ২৪