ছাত্রলীগ শিক্ষকদেরকে মারধরের প্রতিবাদে ও  গ্রেপ্তার দাবিতে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালিত

ছাত্রলীগ শিক্ষকদেরকে মারধরের প্রতিবাদে ও গ্রেপ্তার দাবিতে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালিত

BMTV Desk No Comments

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ ময়মনসিংহের গফরগাঁও সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ কর্তৃক শিক্ষকদের মারধরের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। রোববার (১২ জুন) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা।

ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ইউনিটও পৃথক কর্মসূচি পালন করে।এ সময় বক্তব্য দেন সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ অধ্যক্ষ ও ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক মো. আমান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ মো. মাইনুদ্দিন, উপাধ্যক্ষ নুরুল আফসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আসিফ উল্লাহ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ আল মাহমুদ, সহযোগী অধ্যাপক উজ্জল চক্রবর্তী, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আতিকুর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক স্বপন কুমার ধর, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতির সদস্য রাসেল আহমেদ সুমন প্রমুখ।

আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমান উল্লাহ বলেন, ময়মনসিংহের গফরগাঁও কলেজ শিক্ষক লাঞ্ছনার মতো ঘটনা সারা দেশেই কোনো না কোনো জায়গায় ঘটছে। এতে শিক্ষার কর্মপরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সেটির তীব্র প্রতিবাদ জানাতে আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক-ছাত্রের সম্পর্ক হচ্ছে অত্যন্ত আন্তরিক সম্পর্ক। দুর্বৃত্তরা যদি প্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষককে অপমান করে, লাঞ্ছিত করে, তাহলে সেখানে আর শিক্ষাদানের পরিবেশ থাকে না। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমরা আমাদের সহকর্মীদের পাশে আছি।

অন্য শিক্ষকরাও বলেন, গত ৮ জুন ওই কলেজে সরকারি বিধি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ও সেশন ফি বাবদ ৫ হাজার ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। এটাকে বেশি নেওয়া হচ্ছে কাল্পনিক অভিযোগে তুলে কলেজের কয়েকজন শিক্ষককে মারধর ও গালিগালাজ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ঘটনার পর কলেজের অধ্যক্ষ কাজী ফারুক গফরগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সেটি তদন্ত করছে পুলিশ। আশা করছি দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।