You must need to login..!
Description
মঞ্জুরুল ইসলামঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে আলোচিত সড়ক দুঘর্টনা ট্রাকচাপায় এক পরিবারের তিনজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অন্যদিকে ঘাতক ট্রাকটির মালিক ভুক্তভোগীর পরিবারকে আপস মিমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন ।
রোববার (১৭ জুলাই) দিনগত রাতে নিহতের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ত্রিশাল থানায় মামলা করেন। ত্রিশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকান্দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মামলার বাদী বলেন, ট্রাকে থাকা নম্বরে আমার ভাতিজা শিপন কল দেয়। পরে ট্রাক মালিক মামলা না করে আপসের প্রস্তাব দেন। কিন্তু দুদিন পার হলেও তিনি আসেননি। পরে আমি থানায় মামলা করি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ট্রাক মালিকের নাম মো. মঞ্জুর রহমান। তিনি রাজশাহীর বাঘা থানার মৃত মোনতাজ আলীর ছেলে। ট্রাক মালিক বলেন, আমাকে ফোন দিলে আমি আপোস মিমাংসার প্রস্তাব দিই। কিন্তু অসুস্থতার জন্য আমি যেতে পারিনি। মিমাংসা বলতে মানুষ তো আর ফিরিয়ে দেয়া যাবে না। তিনটা সন্তান আছে, তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করে দেওয়া।
শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার রাইমনি গ্রামের ফকির বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার অস্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম (৩০), মেয়ে সানজিদাকে (৬) নিয়ে আল্টাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন। পৌর শহরের খান ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী, রত্না বেগম মারা যায় এবং মেয়ে সানজিদা আক্তার গুরুতর আহত হয়। এসময় ট্রাক চাপায় রত্না বেগমের পেট ফেটে কন্যা শিশুর জন্ম হয়।
পরে আহত সানজিদা ও নবজাতককে নিয়ে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সানজিদাকে মৃত ঘোষণা করে নবজাতক বাচ্চাটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তবে, অতিরিক্ত যানজটের কারণে নবজাতককে চুরখাই কমিনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মহনগরীর চরপাড়া এলাকায় লাবিব হাসপাতালে ভর্তি করেন। নবজাতক শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।