You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই থানার এসআই সৈয়দ আহমদ। চট্টগ্রামের রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেছেন, খৈয়াছড়া এলাকায় একটি ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহতের ঘটনায় গেটম্যান মো. সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রেলক্রসিং এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিনবিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাদ্দামকে আটক করা হয়েছে।। দুর্ঘটনার ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় বন্ধুদের মৃত্যুর খবর এখনও জানেন না প্রাণে বেঁচে যাওয়া আহত তানভীর হাসান হৃদয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি তানভীর হাসান হৃদয় ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কোচিং সেন্টারের ১২ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষক মিলে খৈয়াছড়া ঝরনায় গিয়েছিলাম। ঝরনা দেখে ফেরার পথে আমাদের মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনায় সময় আমি ঘুমে ছিলাম। বিকট আওয়াজে আমার ঘুম ভাঙে। এরপর ভেতর থেকে কীভাবে বের হয়েছি বলতে পারব না। আমার বাকি বন্ধুদের খবরও এখন পর্যন্ত জানি না।
রেল লাইনের গেটবারটি ফেলা ছিল কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ঘুমে ছিলাম। বিষয়টা বলতে পারছি না। রেলগেট ফেলা থাকলে তো এমন ঘটনা ঘটার কথা না।
তিনি বলেন, ড্রাইভার ও হেলপারসহ আমরা ১৮ জন ছিলাম। আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমাদের সঙ্গে চার জন শিক্ষক ছিলেন। আর ১২ জন আমরা বন্ধু। বন্ধুদের কি হয়েছে এখনও জানতে পারিনি।
এ দুর্ঘটনায় আহত ছয় জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছয় জন হলেন— মাইক্রোবাসের হেলপার তৌকিদ ইবনে শাওন (২০), একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মাহিম (১৮), তানভীর হাসান হৃদয় (১৮), মো. ইমন (১৯), এসএসসি পরীক্ষার্থী তছমির পাবেল (১৬) ও মো. সৈকত (১৮)।
অন্যদিকে নিহত ১১ জনের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন— কোচিং সেন্টারের চার শিক্ষক জিসান, সজীব, রাকিব ও রেদোয়ান ও কেএস নজুমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী হিশাম, আয়াত, মারুফ, তাসফির ও হাসান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত ৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপর রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছিলেন, খৈয়াছড়া এলাকায় রেলওয়ের ওপর দিয়ে একটি সড়ক পথ গেছে। সেখানে রেলওয়ের নিযুক্ত গেটম্যানও আছে। দুর্ঘটনার পরপর গেটকিপারে সঙ্গে কথা বলেছি। গেটকিপার আমাকে জানিয়েছেন, ট্রেন আসার আগেই গেট ফেলা ছিল। কিন্তু মাইক্রোবাসের চালক গেট বারটি জোর করে তুলে রেললাইনে প্রবেশ করেন। এরপর মহানগর প্রভাতী ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।