You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধা ছিল ৯০ হাজার, এখন আড়াই লাখ। কোথা থেকে এলো এতো মুক্তিযোদ্ধা? যারা মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে তারাই মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করেছে। আওয়ামী লীগ করলেই যদি মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায়, তাহলে আমরা কেন জীবন দিয়েছি? মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান দিলে তারা সন্মান পাবেনা বলেই ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করতে এতো মুক্তিযোদ্ধা বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিব জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। তার পক্ষে ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। তবে স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন বঙ্গবন্ধু। এটা মেনে নিতে পারছে না আওয়ামী লীগ। মেজর জিয়ার ঘোষণার পর পরই ক্যান্টনমেন্টে বাঙালি সৈনিকরা বিদ্রোহ করে সর্বস্তরের মানুষের কষ্টের কথা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হোক কোনো নেতা বলেনি। সবাই ছয় দফার কথা বলেছে। এক দফার স্বাধীনতার কথা আওয়ামী লীগও বলেনি। এক বছর আগ থেকে মাওলানা ভাসানী বলেছেন স্বাধীনতার কথা। দেশকে স্বাধীন করেছে মুক্তিযোদ্ধারা। এদেশের যতো লুটপাট করেছে রাজনীতিবিদরা। মুক্তিযোদ্ধারা করেনি। ১৬ই ডিসেম্বরের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ পরাজিত হতে শুরু করে। যারা জীবন বিপন্ন করে যুদ্ধ করেছে তাদেরকে কৃতিত্ব দেয়া হয়না। একজন রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য শুধু শোনানো হয়। রাজনীতিবিদরা মনে করে মুক্তিযুদ্ধাদের কৃতিত্ব দিলে তারা ছোটো হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, আদালত এখন নীরবে-নিভৃতে কাঁদে। বাংলাদেশের মানুষের মতো এতো অসহায় কোনো জাতি নেই। জনগণকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত করে আমাদের স্বপ্নের দেশ গঠন করতে হবে। আমাদেরকে সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা সরকারকে টেনে নামাতে চাই। সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নামতে চাই।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মেজর অব. সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীমসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধারা।