চট্টগ্রামের ডিসি মমিনুরকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত ইসির

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের কারণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে এলে ডিসি মমিনুর রহমান ওই প্রার্থীর পক্ষে মোনাজাত ও ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হলে নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার পদ থেকে অব্যহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগিরই আপনারা জানতে পারবেন। ওনাকে আমরা রাখবো না। সরিয়ে দেবো।
তাৎক্ষণিকভাবে অন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া কঠিন। এজন্য তদন্ত হতে হবে। এটা লঘু শাস্তি নয়। এই মুহূর্তে করণীয় একটাই, তাকে সরিয়ে দেয়া। পরবর্তীতে পরেরটা দেখা যাবে।এখন কাজ হলো উনাকে সরিয়ে দিয়ে উপযুক্ত অন্য একজনকে নিয়োগ দেয়া।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, বিদ্রোহী যারা আসছে তারা একই দলেরই। দীর্ঘদিন ধরে জেলা পরিষদ নির্বাচন নাই। তারপর প্রশাসক আসল। এই অবস্থায় তো চলা যায় না। প্রশাসক আর নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য আছে। মন্ত্রণালয় থেকে বলার পর আমরা নির্বাচন দিলাম। আমাদের কাজ শুরু নির্বাচনটা নামানো। তাই দলীয়ভাবে হচ্ছে না কি হচ্ছে সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। একজন দাঁড়াচ্ছে, আরেকজন দাঁড়াচ্ছেন না। কাজেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াটা বেআইনি নয়। আবার নির্বাচনে কেউ অংশ নিতে পারবে না, এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে, তাতো নয়। আমরা চাচ্ছি সবাই নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কেউ যদি না আসে, কেমন করে তাদের আমরা আনবো।

এই কমিশনার বলেন, দেশে অনেক ঘটনাই ঘটছে, তা কারোর জন্য আকাক্সিক্ষত নয়। ছোটবেলায় আমরা দেখেছি স্থানীয় নির্বাচন দলীয় নয়। কিন্তু অলিখিতভাবে অনেক কিছু হয়ে যায়। এটা বন্ধ করা কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোরই কাজ। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে এখন আমরা নির্দ্বিধায় আমাদের সিদ্ধান্ত নেবো। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এগুলো কিন্তু আমরা আমলে নেবো না। ইতিপূর্বেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।