স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
“ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার চাঞ্চল্যকর ৭ বছরের শিশুধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী সোহেল মিয়া (২৫) কে গ্রেফতার করেছে, র্যাব-১৪,। গত ৩ অক্টোবর-২০২২ সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় ঢাকার হাজারীবাগ হতে শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী ধোবাউড়া থানার বাঘপাড়ার সোহেল মিয়া (২৫)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।আজ র্যাব-১৪ কোম্পানী অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয় এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ০৯ আগস্ট ২০২২ ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানাধীন বাঘপাড়া গ্রামে এক ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার এই মর্মে সংবাদ পাওয়া যায়। ঘটনাটি ধোবাউড়া থানা এলাকাসহ পুরো ময়মনসিংহ জেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। সংবাদ পাওয়ার পরপরই র ̈াব-১৪ এর একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে।
র্যাবের ছায়া তদন্তের মাধ ̈মে জানা যায় মামলার বাদীনি ফিরোজা খাতুন এর মেয়ে আলপনা খাতুনের ৯ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহের ২ বছর পর স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় আলপনা খাতুন তার শিশু কন্যাকে নিয়ে তার মায়ের কাছে চলে আসে। গত ৩ বছর পূর্বে আলপনার অনত্র বিবাহ হলে তার ৭ বছরের শিশু কন্যা তার মা ফিরোজা খাতুনের কাছে রেখে যায়। গত ৯ আগস্ট ২০২২. বিকাল অনুমান ৫টায় গ্রেফতারকৃত আসামী প্রতিবেশী সোহেল মিয়া ভাত খাওয়ার অজুহাতে ফিরোজার ঘরে প্রবেশ করে। ভাত খাওয়া শেষে ফিরোজা খাতুনের হাতে আসামী সোহেল ১০ টাকা দিয়ে পান কেনার কথা বলে কৌশলে দোকানে পাঠায়। সেই সুযোগে আসামী সোহেল ফিরোজা খাতুনের বসতঘরের দরজা বন্ধ করে তার ৭ বছরের শিশু নাতনীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। প্রথমে আসামী তার পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি এবং এলাকায় চাঞ্চলে ̈র সৃষ্টি হলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভিকটিমের নানী ফিরোজা খাতুন বাদী হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানায় একটি শিশুধর্ষণ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-০৫, তারিখ-১৪/০৮/২০২২ ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯ (১)। ধৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে ধোবাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।