স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
আওয়ামী লীগ পায়ে পারা দিয়ে সংঘাত সৃস্টি করে ফয়দা লুটতে চায় উল্লেখ করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন আন্দোলনে জনজোয়ার দেখে তারা বিচলিত, উত্তেজিত,ভীত হয়ে পড়েছে। সেজন্য আশালীন, অরাজনৈতিক ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমন শুরু করেছে।

তিনি আজ দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ইউনিয়ন ভিত্তিক নেতৃবৃন্দের যৌথ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। ৪ নভেম্বর ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ সফল করতে ধোবাউড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই যৌথ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, ফরহাদ রাব্বানী সুমন, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, উপজেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক আজহারুল হক, হাবিবুর রহমান, আবুল হাশিম, সোলায়মান সরকার, আবদুল কুদ্দুস, ওয়াহেদ তালুকদার, গাজীউর রহমান, আবুল কাশেম ডলার, আবদুস শহীদ, সিদ্দিক হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

যৌথ সমাবেশে তিনি বলেন, চলমান আন্দোলনের অন্যতম রুপকার সৎ, সজ্জন, নিরহঙ্কারী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের যা বলেছেন,তা শুধু সত্যের অপলাপ নয়, শিষ্টাচার বহির্ভূত ভ্রষ্টাচার করছেন। তিনি প্রবাদ বাক্য উল্লেখ করে বলেন,ইট মারলে পাটকেল খেতেই হয়। ওবায়দুল কাদেরের ভাই মির্জা কাদের যখন স্বাক্ষী দিয়ে বলেন,যোগাযোগ মন্ত্রণালয় দুর্ণীতিতে পরিপূর্ণ এবং মন্ত্রীর স্ত্রী দেশের প্রথম ১০ দুর্ণীতিবাজদের একজন, তখন আর বলার অপেক্ষা রাখেনা, কাদেরের হাতের ৩০/৪০ লাখ টাকার ঘরি আর লাখ লাখ টাকার স্যুট কোথা থেকে আসে। কাদের সাহেব কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ছেন। তাদের আমলনামা অচিরেই জাতির সামনে উন্মোচিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন,বিএনপির পূর্ব ঘোষিত সমাবেশের দিন পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে তারা উস্কানীমূলক আচরণ করছে । ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে একই দিনে পাল্টা কর্মসূচির নামে কোনও সংঘাত সৃস্টি করা হলে দায় দায়িত্ব আওয়ামী লীগকেই বহন করতে হবে। তিনি আগামী ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ সফল করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।