লাভের চেয়ে জয়ের আনন্দটা বেশি ফুলবাড়ীয়ায় শখের বাগানে স্বপ্নের কমলা

image

You must need to login..!

Description

এনায়েতুর রহমান,ফুলবাড়ীয়া থেকেঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় লেখা পড়ার পাশাপাশি কমলা চাষ করছেন ইমতিয়াজ আহমেদ শুভ। করোনাকালীন সময়ে কলেজ বন্ধ থাকায় লেখাপড়ার পাশাপাশি অলস সময় না কাটিয়ে কমলা চাষে মনোযোগী হয়ে উঠেন শুভ।
উপজেলার কালাদহ গ্রামের এ কে এম নুরুল ইসলাম এর ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ শুভ। ময়মনসিংহ সরকারী আনন্দমোহন কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের এমবিএ’র শিক্ষার্থী তিনি।
ইমতিয়াজ আহমেদ শুভ বলেন, ২০২০ সালের জুন মাস তখন আমি অনার্সে অধ্যায়নরত। করোনাকালীন সময়ে কলেজ বন্ধ থাকায় অলস সময় কিছুতেই কাটছে না। করোনাকালীন অবসর সময়কে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। বাড়িতে বসে বাবা এ কে এম নুরুল ইসলাম এর সাথে গল্প করছিলেন অবসর সময়ে কী করা যায়। তখন বাবা বলছিলেন তার একটা স্বপ্ন ছিল কমলার বাগান করার। বাবার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে চায় শুভ। এ ভাবনা থেকে মনোনিবেশ করেন কমলা চাষে। বাবা মা’র অনুপ্রেরণা থেকে কমলাা চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। ইউটিউব দেখে বন্ধু আসিফ আলম তন্ময় ও লিমন দেবনাথকে সাথে নিয়ে পিতার ৪৫ শতক পতিত জমিতে চুয়াডাঙ্গা থেকে ১২৩ টি চায়না কমলার চারা ক্রয় করে রোপন করেন শুভ। নিয়মিত সঠিক পরিচর্যা ও জৈব সারের ব্যাবহারে প্রথম বছরেই ফলন ভালো। ফলন ভালো তবে দামটা কেমন হবে, ভালো বাজার কোথায় পাবো সে চিন্তা করছি এখন। প্রতি গাছে ২০ থেকে ২৫ কেজি কমলা হবে বলে আশা করছেন তিনি।
ছোট থেকেই আমার গাছ লাগানো শখ। আমার প্রবল ইচ্ছাশক্তি আমাকে সফল কমলা বাগান করতে উদ্ভুদ্ধ করেছে। আমাকে এখন কৃষি বিভাগ ও কৃষি সংশ্লিষ্টরা সফল কৃষি উদ্যোক্তা বলে জানে। অনেকেই বলেছে এ অঞ্চলের মাটি কমলা উপযোগী নয়, মিষ্টি হবে না, অযথাই সময় ও টাকা নষ্ট হবে সব বাধা উপেক্ষা করে আমি জয়ী এক কৃষক। আনন্দে আমার মনটা ভরে গেছে, আমার বাবা-মা ও স্বজনরা অনেক খুশি। আমি এই ফল বিক্রি করে লাভের চেয়ে জয়ের আনন্দটা বেশি উপভোগ করছি।
মুক্তাগাছা বিএডিসির উপ-পরিচালক আসিফ ইকবাল সাকি আমার কমলার বাগান পরিদর্শন করে সফল উদ্যোক্তার স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাঁর পৃষ্টপোষকতায় আমাকে সফল হতে উৎসাহ যুগিয়েছে!
বাগান দেখতে আসা ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, সবুজ পাতার আড়ালে থোকায় থোকায় কমলা সত্যিই দেখতে খুব সুন্দর, এই বাগান দেখে মনে হচ্ছে আমরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেকটা এগিয়েছি।
ব্লক উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কোন সহযোগিতা পাইনি আমি। পেয়েছি তিরস্কার, হারিয়েছি মনোবল। কিন্তু আমি ভেঙ্গে পড়েনি। একজন সাধারণ কৃষক হিসাবে যে সহযোগিতা করার কথা তাও আমাকে করেনি।
নবাগত উপজেলা কৃষি অফিসার রাকিব আল রানা বলেন, আমি যোগদান করেছি দ্’ুদিন হলো মাত্র। দ্রুত আমি ঐ সফল কৃষি উদ্যোক্তার খোঁজ খবর নিচ্ছি। এরকম উদ্যোক্তাদের পৃষ্টপোষকতা জরুরি।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার