জামালপুর সরকারি স্কুলের জমি বিক্রি ও পাকা বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

image

You must need to login..!

Description

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ  জামালপুর সদরের উত্তর কৈডোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারী জমি বিক্রি ও দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে। অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা মিলেছে বলে জানান, জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুর রাজ্জাক। তিনি জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রমাণ মিলেছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবরে তদন্ত রিপোর্টটি প্রেরণ করা হয়েছে। বিভাগীয় অফিস প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে তদন্ত রিপোর্টটি প্রেরণ করেছেন। আমরা আদেশের অপেক্ষায় আছি।
উত্তর কৈডোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য শফিকুল ইসলাম, ডাঃ মোঃ শহিদুল্লাাহ ও শ্রী সুকুমার চন্দ্র দে ১৯৯৫ সালে ৩ আগস্ট ১২০৬৪ দলিলে উক্ত স্কুলকে ২৬ শতাংশ রেজিস্ট্রি দেন। কবজ আলী ১৯৯৫ সালে ৩ আগস্ট ১২০৬৭ দলিল মুলে ৫ শতাংশ ও গোলাম মোস্তফা ১৯৯৫ সালে ৩ আগস্ট ১২০৬৮ নং দলিল মুলে ২০ শতাংশ স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর রেজিস্ট্রি মুলে দান করে দেন। ৫জনে স্কুলের মোট ৫১ শতাংশ জমি দান করেন ।
প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ১৯৯৫ সালে ১২০৬৮ দলিল মুলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবারে দেয়া সাব কবলা দলিল মুলে ২০ শতাংশ ভূমি দান করে দেন। যার সাবেক দাগ ৮১ ও হাল দাগ ২৬৩। পরবর্তীতে গোলাম মোস্তফা ১৯৯৯ সালে ১৪ জানুয়ারি ১১২৮৮ সাব কবলা দলিল মুলে শুকুর আলী নিকট ২শতাংশ বিক্রি করে দেন। এবং গত ১৯৯৯ সালে ১৪ জানুয়ারি তোরাব আলী ও সোহেল আলীর নিকট ৮৮৩ দলিল মুলে সাবেক ৮১ দাগ, (হাল দাগ ২৬৩) থেকে আরো ৭ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেন। এছাড়াও স্কুলের ৭ শতাংশ জমি দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা। এই ব্যাপারে স্কুলের জমিদাতা কবজ আলীর পুত্র ছাত্র অভিভাবক জহিরুল ইসলাম জহির গত ২০২১ সালে ২৪ জানুয়ারি জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বরাবরে জমি আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। পরবতীতে তদন্ত করে সত্যতা পায়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় অফিসে প্রেরণ করেছেন।
এদিকে অত্র বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, স্কুলের ৫১ শতাংশ জমি দিলেও ২০০৯ সালে ৩৩ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। ২০১১ সালে বিশেষ আদেশের মাধ্যমে সরকারীকরণ হয় এবং একাডেমী স্বীকৃতি প্রদান করে। বাকী জমি স্কুল কমিটির রেজুলেশনের মাধ্যমে ৯শতাংশ আমি জমি বিক্রি করে দেই। ৭ শতাংশ জমিতে আমি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি। সরকারকে রেজিস্ট্রি করে জমি দেয়ার পর কিভাবে আপনি আবার বিক্রি করলেন ও বাড়ি করলেন এই প্রশ্নের উত্তর বা সঠিক ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার