You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে করোনা মহামারি নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর খবর নতুন কিছু নয়। তবে ভুয়া তথ্য ছড়ানোয় অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব এমনটাই দাবি করছে বিশ্বজুড়ে ৮০ টিরও বেশি নাম করা ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা। তাই ইউটিউব অপব্যবহারকারীদের লাগাম টানতে উদ্যোগী হয়েছে সংস্থাগুলো। অবিলম্বে সেই ভিডিওগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউটিউবকে প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে তারা।
টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এ ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাগুলি একত্রিত হয়ে গণমাধ্যম গবেষণা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান পোইন্টারের কাছে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে। যা পরবর্তীতে ওই প্রতিষ্ঠানের জার্নালে প্রকাশিত হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এই ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাগুলো অনলাইনে মিথ্যা ছড়ানো কনটেন্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে আসছে। তাদের মতে, অনলাইনে বিশ্বব্যাপী ভুল তথ্যের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব। যা এখন বৈশ্বিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পলিটিফ্যাক্ট, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ফ্যাক্ট চেকার, পয়েন্টার্স মিডিয়াওয়াইজ, আফ্রিকার দুবাওয়া, আফ্রিকা চেক ও ভারতের ফ্যাক্ট ক্রিসসেন্ডো, ফ্যাক্টলি সংস্থাগুলো ছড়াও ওই চিঠিতে সাক্ষর করেছে ইন্দোনেশিয়া, ইসরায়েল এবং তুরস্ক সহ বিভিন্ন দেশের নাম করা ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা।
সংস্থাগুলো বলছে, এই ভিডিও-শেয়ারিং সাইটে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত এমন কিছু ভুল তথ্য রয়েছে, যা ক্যানসার রোগীদের অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার দিকে আগ্রহী করে তুলছে। তা ছাড়া বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করে বিগত দুই বছরে এই প্ল্যাটফর্মে করোনা মহামারি ও এর টিকা নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। যা পরবর্তীতে করোনার টিকা বয়কট করতে বিশ্বের বেশ বড় সংখ্যার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
এ সমস্যা সমাধানে ইউটিউবের স্বচ্ছতা বাড়িয়ে ভুয়া তথ্য বিরোধী নীতি আরও জোড় দার করতে ইউটিউবকে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাগুলো। তা ছাড়াও বিশেষজ্ঞ গবেষকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভিডিও মানুষের কাছে বেশি করে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইউটিউবের কাছে আহ্বান জানিয়েছে তারা।