স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের চামুরথা গ্রামে রবিবার দুপুরে (১৬ জানুয়ারী) অভিযান চালিয়ে লোকালয় ও তিন ফসলি জমিতে এমবিবি নামক অবৈধ, অনুমোদনহীন ড্রাম চিমনীর ইটভাটার ড্রাম চিমনী ভেঙ্গে দেয় গফরগাঁও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাবেরী রায় ও পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের পদির্শক রুহুল আমীন। এ সময় ভাটা মালিক হাবিবুল্লাহ শেখকে ৫০ হাজার জরিমান করা হয়।
কিন্তু আদালতের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে অভিযান শেষ হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই ওই ভাটা আবার চালু করেছেন মালিক হাবিবুল্লাহ। সরেজমিন ঘুরে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। ওই ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের ছাড়পত্র নেই। এই ভাটাটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। ভাটাটি গড়েও তোলা হয়েছে তিন ফসলি জমিতে।
অথচ সরকারি বিধান রয়েছে, আবাসিক এলাকা ৩ কিঃ মিঃ ব্যাসের মধ্যে কোন অবস্থ’াতেই ইটভাটা করা যাবে না। আর কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন দন্ডনীয় অপরাধ আইনে এমনটাই বলা আছে। ১৯৯২ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় জারিকৃত প্রজ্ঞাপনেও এই হুশিয়ারী দেওয়া আছে। সরকারি বিধি-বিধানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করতে হবে খনিজ কয়লা।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বায়ুদূষণ রোধে অবৈধভাবে পরিচালিত ওই ভাটা বন্ধে অভিযান চালানো হয় । সে সময় ওই ভাটা ড্রাম চিমনী ভেঙ্গে দিয়ে ৫০ টাকা জরিমানা করা হয় ভাটা মালিককে। তখন ইট পোড়ানো বন্ধ করতে আগুন নিভিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হয় মালিককে।
কিন্তু রবিবার বিকেলে সরেজমিনে এমবিবি নামে ওই ভাটাতে গিয়ে ড্রাম চিমনী দিয়ে ইট পোড়াতে দেখা যায়। দেখে মনে হয়নি এসব ভাটা বন্ধে মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে অভিযান চালানো হয়েছে।